সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৮ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে বছর শেষে রপ্তানি আয় হয়েছে ৫৫ দশমিক ৫৫৮ বিলিয়ন ডলার, যা লক্ষ্যের চেয়ে ৪ দশমিক ২১ শতাংশ কম।
এই রপ্তানি আয় ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। আগের বছর রপ্তানি হয়েছিল ৫২ দশমিক ০৮৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
সোমবার (৩ জুলাই) এ তথ্য প্রকাশ করে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো। বছর শেষে দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক লক্ষ্য স্পর্শ করলেও অন্যান্য পণ্য রপ্তানিতে সুবিধাজনক ফল আসেনি।
গেল অর্থবছরে ৪৬ দশমিক ৯৯১ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬ দশমিক ৮০০ বিলিয়ন ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে দশমিক ৪১ শতাংশ। আর আগের বছরের চেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। তৈরি পোশাক রপ্তানির এই চিত্রকে ইতিবাচক বলছে সংশ্লিষ্টরা।
বিদায়ী বছরের রপ্তানি আয় আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে পাট ও পাটজাত পণ্যে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ দশমিক ২৮০ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ১ বিলিয়ন ডলারের চেয়েও কম; ৯১২ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত বছরের চেয়েও কম। আগের বছর ১ দশমিক ১২৭ বিলিয়ন ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্যে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ শতাংশ।
সাদা সোনা খ্যাত হিমায়িত চিংড়ির রপ্তানি কমেছে বিদায়ী বছরে। সম্ভাবনার এ খাত প্রসারের চেয়ে সংকুচিত হচ্ছে। বিদায়ী বছরে চিংড়ি থেকে রপ্তানি আয় কমেছে এক-চতুর্থাংশ। অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৫৩৩ মিলিয়ন ডলারের পণ্য; আর বিদায়ী বছরে রপ্তানি হয়েছে ৪২২ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।
কৃষিজাত পণ্যে রপ্তানি আয় ২৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমেছে। উৎপাদিত পণ্যে ৮ শতাংশ, কেমিক্যাল পণ্যে ১৭ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ২ শতাংশ কমেছে। হোম টেক্সটাইলে কমেছে ৩২ শতাংশ। বিদায়ী বছরে উল্লেখযোগ্য এ রপ্তানি পণ্যটির ১ দশমিক ০৯৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হয়েছিল। আর আগের বছর রপ্তানি হয়েছিল ১ দশমিক ৬২১ বিলিয়ন ডলারের হোম টেক্সটাইল পণ্য। পরিমাণে কম হলেও রপ্তানি আয় বেড়েছে প্লাস্টিক পণ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২৩
জেডএ/আরএইচ