ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

রিজার্ভ এখন ২৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
রিজার্ভ এখন ২৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার

ঢাকা: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।  

বুধবার (৫ জুলাই) এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মে-জুন দুই মাসের ১ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিল পরিশোধ ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রির পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ বৈদেশিক মুদ্রার এই স্থিতি দাঁড়াল।

বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র সরোয়ার হোসেন।

তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার। ওইদিন আকুর বিল পরিশোধ করতে ব্যয় করা হয় ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার, যা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডেবিট (বাদ দেওয়া হয়) করা হয়। একইসঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে বিক্রি করা হয় ডলার। এরপর সন্ধ্যা নাগাদ রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৯ বিলিয়ন ৯৮ বিলিয়ন ডলারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুইভাবে রিজার্ভের হিসাব করা হচ্ছে। এর একটি হলো মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে গঠন করা ৬ বিলিয়ন ডলারের তহবিল বাদ দিয়ে। এই হিসাবে নিট রিজার্ভ ২৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। আর গ্রস রিজার্ভ ২৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

আকুর বড় ধরনের বিল পরিশোধের পরও রিজার্ভের এই স্থিতিকে ইতিবাচক বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী   পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ স্থিতির যে প্রোগ্রাম ঠিক করা হয়েছিল, নতুন অর্থবছরে প্রায় সেখানেই রইল। আগামীতে যেমন রিজার্ভ বাড়বে, সেই সঙ্গে রপ্তানি বিলও পরিশোধ করতে হবে। এর ফলে স্থিতিশীল থাকবে বৈদেশিক মুদ্রার এই রিজার্ভ।

রিজার্ভ বৃদ্ধির নিয়ামকগুলো আগামী দিনগুলোতে সহায়ক হবে। প্রবাসী আয় ইতিবাচক ধারাতে থাকবে, রপ্তানি আয়ও ভালো থাকবে। বৈদেশিক ঋণের কিস্তিগুলোও ছাড় হবে। এর ফলে রিজার্ভ সবসময়ই ইতিবাচক ধারাতে থাকবে, উল্লেখ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্বাহী পরিচালক।

২০২১-২২ অর্থবছরের আগস্ট মাসেও রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে লাগামছাড়া। বাড়ে পরিবহন খরচ। চাপ পড়ে আমদানি ব্যয়ে। এতদিন রপ্তানি আয়, প্রবাসী আয়, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে  প্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে আমদানি ব্যয় মেটানো গেলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমদানি ব্যয় মেটাতে ডলারে টান পড়ে। এর ফলে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
জেডএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।