ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পারস্পরিক সহযোগিতা বাংলাদেশ-তুরস্ক বাণিজ্য বাড়াবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
পারস্পরিক সহযোগিতা বাংলাদেশ-তুরস্ক বাণিজ্য বাড়াবে

ঢাকা: বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে অর্থপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির নতুন সুযোগ উন্মোচিত হতে পারে। টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ ও তুরস্কের একে অপরের পরিপূরক হওয়ার বিশাল সুযোগ আছে।

যার মাধ্যমে উভয় দেশ পারস্পরিক সুবিধা অর্জন করবে।

বুধবার (১২ জুলাই) ঢাকার উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উভয়ে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  

বৈঠকে তারা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্রসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

ফ্যাশন, ডিজাইন, প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতার বিনিময়ের মাধ্যমে টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পের উন্নয়নে উভয় দেশের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ আছে বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান রাষ্ট্রদূত রমিস সেনকে বিজিএমই 'র সাসটেইনেবিলিটি স্ট্র্যাটেজিক ভিশন সম্পর্কে অবহিত করেন। ফারুক হাসান বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের পোশাক রপ্তানি করা এ ভিশনের অন্যতম লক্ষ্য।

বাংলাদেশের পোশাক খাত তার অভীষ্ট লক্ষে পৌঁছাতে উচ্চ-মূল্যের পোশাক, বিশেষ করে ম্যান মেইড ফাইবার এবং প্রযুক্তিগত টেক্সটাইল ভিত্তিক পোশাকে বৈচিত্র্য আনার ওপর বিশেষভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশের পোশাক খাত যেহেতু প্রযুক্তির মানোন্নয়নে বিনিয়োগ করছে, তুরস্ক তাদের টেক্সটাইল যন্ত্রপাতি রপ্তানির জন্য বাংলাদেশে সুযোগ খুঁজতে পারে। তুরস্কের বিনিয়োগকারীরা টেক্সটাইল শিল্পে ব্যবহৃত রাসায়নিক ও অন্যান্য কাঁচামাল উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশে কোম্পানি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।

ফারুক হাসান আরও বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশ থেকে উচ্চমূল্যের পোশাকসহ আরও বেশি পোশাক আমদানি করতে পারে। এটি বাংলাদেশ এবং তুরস্ক উভয়ের জন্যই লাভজনক হবে।

বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) এবং তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় টেক্সটাইল ও ফ্যাশন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইনস্টিটিউটগুলো যেন একে অপরের মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে পারস্পরিক দক্ষতা উন্নয়ন করতে পারে সে বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি রাষ্ট্রদূতের সহায়তা কামনা করেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ'র সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, বিজিএমইএ'র স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রেস, পাবলিকেশান অ্যান্ড পাবলিসিটির চেয়ারম্যান শোভন ইসলাম এবং স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফরেন মিশন সেল এর চেয়ারম্যান শামস মাহমুদ।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
এমকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।