ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দ্বিতীয় দিনে রুপিতে এলসি হয়নি

সিনিয়র করেসপেন্ডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
দ্বিতীয় দিনে রুপিতে এলসি হয়নি

ঢাকা: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে রুপিতে লেনদেন শুরু হয়েছে। উদ্বোধনের দিনে ২৮ মিলিয়ন রুপির এলসি (ঋণপত্র) খোলে দুটি প্রতিষ্ঠান।

তবে দ্বিতীয় দিনে নতুন করে কোনো এলসি খোলা হয়নি। রুপিতে এলসি খোলার জন্য দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। আগামী সপ্তাহে পুরোদমে রুপিতে এলসি খোলার হার বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুরুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের সোনালী ব্যাংক ও বেসরকারি খাতের ইস্টার্ন ব্যাংক এবং ভারতের স্টেট ব্যাংক ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই এলসি খোলার কাজটি করবে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ব্যাংকও রুপিতে এলসি খুলবে।

দুটি প্রতিষ্ঠান প্রথমদিন ২৮ মিলিয়ন ডলারের এলসি খুললেও দ্বিতীয় দিন বুধবার (১২ জুলাই) কোনো এলসি খোলেনি। ইস্টার্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিও আলী রেজা ইফতেখার তার ব্যাংকে কোনো এলসি না হওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।

সোনালী ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, রুপিতে এলসি খোলার ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়ায় করা হবে, তা আমদানি ও রপ্তানিকারকরা জানার চেষ্টা করছেন। আমরাও তাদের কাছে বার্তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছি; যাতে তারা রুপিতে এলসি খোলা শুরু করেন।

রুপিতে এলসি খোলার ক্ষেত্রে প্রধানত তিনটি সুবিধা হবে। প্রথমত, সময়ের সাশ্রয় হবে। ডলারে এলসি খোলার ক্ষেত্রে এক থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগে। রুপিতে এলসি খোলার ক্ষেত্রে একদিনেই হয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত, খরচ বাঁচবে। ডলারে এলসি খোলার ক্ষেত্রে টাকা থেকে ডলার, আবার ডলার থেকে টাকাতে রূপান্তর করতে দুইবার মুদ্রার বিনিময় ফি দেওয়া লাগে। রুপিতে এত সময় লাগবে না। একই সঙ্গে এটি একটি সহজ কাজ। তৃতীয়ত, ডলার সংকটে এলসি খুলতে অপক্ষো করতে হবে না। এর ফলে তুলনামূলক কম খরচে আমদানি বা রপ্তানি কাজ সম্পন্ন করা যাবে। এতে পণ্যের দামও কম পড়বে; জানান এই কর্মকর্তা।

বিষয়টি নিয়ে মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছিলেন, বাংলাদেশের অনেক মানুষ চিকিৎসার কাজে, ধর্মীয় কাজে, ভ্রমণে ও শিক্ষার কাজে ভারতে যান, রুপিতে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য শুরু হলে তারা সুবিধা পাবেন। এ ক্ষেত্রে সময় বাঁচবে; বাঁচবে খরচ। টাকা থেকে ডলার ও ডলার থেকে টাকা রূপান্তরের ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হবে না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, রুপিতে আমদানি-রপ্তানিকারকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি দুয়েকটি ব্যাংকের কিছু কারিগরি কাজ এখনো বাকি আছে, এর মধ্যে সেটাও হয়ে যাবে। এরপর সব ব্যাংকেই রুপিতে এলসি খোলা হবে বলে মনে করছি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৩
জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।