ঢাকা, সোমবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাণিজ্য কূটনীতি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের দক্ষতা উন্নয়নের বিকল্প নেই: মন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২৩
বাণিজ্য কূটনীতি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের দক্ষতা উন্নয়নের বিকল্প নেই: মন্ত্রী

ঢাকা: সম্ভাবনাময় দেশের সঙ্গে কার্যকর ও ফলপ্রসূ বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের লক্ষ্যে বাণিজ্য কূটনীতি ও নেগোসিয়েশনের (আপস) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের দক্ষতা উন্নয়নে বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।  

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে নেগোসিয়েশনকে ফলপ্রসূ করতে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের প্রাসঙ্গিক জ্ঞান এবং কৌশল জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পাশাপাশি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা সংশ্লিষ্ট চুক্তি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

বুধবার (৩০ আগস্ট) টিসিবি ভবনে বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) আয়োজিত ট্রেড ডিপ্লোম্যাসি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল নেগোসিয়েশন শীর্ষক চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে সরকারি ও বেসরকারি অভিজ্ঞ অংশীজনদের নিয়ে এক্সপার্ট-পুল গঠনেরও চিন্তা করা হচ্ছে। এ ছাড়া রিজিওনাল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (আরটিএ) পলিসি ২০২২ গাইডলাইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, থিংক ট্যাঙ্ক ও একাডেমিয়ার সদস্যদের নিয়ে একটি ট্রেড নেগোসিয়েশন স্ট্রাকচার গঠনের পরিকল্পনা করছে।

তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে না। এজন্য অন্যান্য দেশ ও বাণিজ্য জোটের সঙ্গে আমাদের মুক্তবাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের প্রয়োজন হবে। মুক্তবাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের জন্য নেগোসিয়েশনের দক্ষতা বৃদ্ধি ও এই বিষয়ে সম্যক ধারণা দেওয়ার জন্য এই প্রশিক্ষণ অত্যন্ত সহায়ক হবে বলে আমি আশা করছি।  

ব্যতিক্রমধর্মী ও সময়োপযোগী এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজনের জন্য তিনি বিএফটিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
 
ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমি বিশ্বাস করি এ প্রশিক্ষণ পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরের কর্মকর্তাদের বাণিজ্য কূটনীতি ও নেগোসিয়েশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান দেওয়ার মাধ্যমে একটি
আলোচকের বিশেষজ্ঞ পুল তৈরিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার মাধ্যমে ভিশন ২০৪১ এর সফল বাস্তবায়নে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
 
বিএফটিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন বলেন, বিএফটিআই প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পাবলিক সেক্টর ও প্রাইভেট সেক্টরের বাণিজ্য সংক্রান্ত জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণ পরবর্তী সময়ের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সক্ষমতা বাড়ানোর কথা বিবেচনা করে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

বিএফটিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার। বিএফটিআই পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

গত ২৭ আগস্ট শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষণে পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরের কর্মকর্তাদের বাণিজ্যবিষয়ক নেগোসিয়েশন এবং এর প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২৩
জিসিজি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।