ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইলিশের দাম নিয়ে কাজ করবে ভোক্তা অধিদপ্তর: ডিজি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
ইলিশের দাম নিয়ে কাজ করবে ভোক্তা অধিদপ্তর: ডিজি

ঢাকা: ইলিশের দাম অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় এ নিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কাজ করবে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, ইলিশের দাম অত্যাধিক বেড়েছে।

এটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন হয়, এর জন্য কোনো খরচ লাগে না। শুধু মাছ আহরণ করতে খরচ হয়। চাষের মাছ উৎপাদন করতে অনেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু ভালো মানের একটি রুই বা কাতল মাছ যে দামে বিক্রি হয়, তার থেকে পাঁচগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বিনা খরচায় উৎপাদিত ইলিশ। এটি নিয়ে আমরা কাজ করবো।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ‘কেবল বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ সম্ভব নয়’ শীর্ষক এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) যৌথভাবে এ ছায়া সংসদের আয়োজন করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ডিজি আরও বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির মূল বিষয় হলো চাহিদা এবং সরবরাহ। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মনে হয় এটি কার্যকর নয়। আমাদের বিপণন ব্যবস্থায় চরম ত্রুটি রয়েছে। আমাদের কতিপয় ব্যবসায়ীদের নীতি-নৈতিকতার শূন্যের পর্যায়ে চলে গেছে।

তিনি বলেন, আমাদের এমন কোনো টুলস নেই, যেটি দিয়ে আমরা দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা করে পণ্যের দাম অনুমান করতে পারবো। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের জনবলের ঘাটতি আছে। খুবই সংকটময় অবস্থায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে বাজারে দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা, তাতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা কষ্টে আছে উল্লেখ করে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের বাজার মনিটরিং ও অভিযানের মধ্য দিয়ে তারা সেই কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে না। মনিটরিং প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু কাজ। সত্যিকার অর্থে এ নিয়ে কাজ করতে হলে ব্যবসায়ী সমাজের যেমন সদিচ্ছার দরকার, তেমনি তাদের অংশগ্রহণও দরকার। অসাধু চক্রের অদৃশ্য হাত বন্ধ করতে সবার অংশগ্রহণ দরকার।

তিনি আরও বলেন, মনিটরিং করে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। লক্ষ-লক্ষ হাট-বাজার আছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য গত তিন-চার মাস আমরা একটি জিনিস নিয়ে কাজ করছি। আমরা অ্যাপস নির্ভর বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা করতে চাচ্ছি। এরই মধ্যে আমরা এ কাজ শুরু করেছে। যদি আমরা অ্যাপস নির্ভর বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করতে পারি, তাহলে এখন বাজারে যে অস্থিরতা চলছে, তা অনেকাংশে দূর করতে পারবো। এর জন্য সবার সহযোগিতা দরকার।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান।  

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে বাজার মনিটরিং নিয়ে আয়োজিত এ ছাড়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বিরোধী দল হিসেবে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা ছিলেন। প্রতিযোগিতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ জয় লাভ করে।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন সাংবাদিক মাঈনুল আলম, আবুল কাশেম, কাবেরী মৈত্রেয় ও শাহ আলম খান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
এসসি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।