ঢাকা: এক দফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর পালন করছে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি। এর ফলে বাজারে খাদ্যপণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
নিত্যপণ্যের দাম নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত সপ্তাহের টানা তিন দিনের অবরোধে রাজধানীর বাজারে পণ্যের সরবরাহ অর্ধেকে নেমেছে। এ সময় বিক্রি কমার পাশাপাশি বেড়েছে দামও।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অবরোধের মতো কর্মসূচিতে ট্রাক মালিকরা ঝুঁকি নিয়ে পণ্য পরিবহন করতে চান না। ফলে কাঁচাবাজারে পণ্যের সরবরাহ হ্রাস এবং মূল্যবৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন কারওয়ানবাজারে সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজারো ট্রাক ভোগ্যপণ্য নিয়ে আসে। আবার একই সংখ্যক ট্রাক এবং গাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায় পণ্য পরিবহন করে। কিন্তু অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা ৬০-৭০ শতাংশ কমেছে।
অবরোধের প্রভাবে রাজধানীসহ সারা দেশের কাঁচাবাজারে পণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। লাগাতার এমন কর্মসূচি পরে প্রভাব ফেলতে পারে মুদিসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দামেও।
কারওয়ান বাজারে আসা ক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি বাজারে খাদ্যপণ্যের সরবরাহ ব্যাহত করছে। এতে পণ্যের দাম বাড়ছে এবং অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে এ ধরনের কর্মসূচি থেকে বিরত থাকা উচিত। এমনিতেই সবকিছুর দামে আগুন। এরপর অবরোধ যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’!
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ. মনসুর বলেন, সংঘাতময় রাজনীতি অর্থনীতিকে বড় অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। নির্বাচনের ব্যাপারে শান্তিপূর্ণ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ পরিস্থিতি হয়তো চলতে থাকবে, যার অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিণাম হবে ভয়াবহ। তবে এখন পর্যন্ত রাজনীতিবিদদের মনোভাবে নমনীয়তার লক্ষণ নেই।
তিনি বলেন, কয়েক দিন ধরে যেভাবে উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, তা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। এতে মূল্যস্ফীতির চাপ, ডলার সংকট ও কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও সংকুচিত হবে। অর্থনীতির সব খাতেই তৈরি হবে একটা বিরূপ পরিস্থিতি। গত মাসে রপ্তানি কমেছে, আগামীতে আরও কমবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২৩
এইচএমএস/এমজেএফ