ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা, বিপাকে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা

ডিস্টিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা, বিপাকে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার বাজারে উঠেছে দেশি পেঁয়াজ। যা খুচরা বাজারে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

আর ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। যার আমদানি মূল্যও বেড়ে ৮০০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। তাই ভারত থেকে আপাতত পেঁয়াজ আমদানিতে আগ্রহ হারিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। যদিও ভারত সরকার ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন সেদেশের ব্যবসায়ীরা। বিপুল অংকের টাকা লোকসানের শঙ্কায় দিন কাটছে তাদের।  

তথ্য মতে, গত ৭ ডিসেম্বর ভারত সরকার আকস্মিক পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপর সেদেশের বন্দরে পুলিশের ‘সুবিধা পাস’ পাওয়া শেষ পেঁয়াজভর্তি ট্রাকটি সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ১০ ডিসেম্বর।

এরপরে আরও অন্তত ৫০০ টন পেঁয়াজ নিয়ে বেশ কিছু ট্রাক সেদেশের বন্দরে পৌঁছালেও ‘পাস সুবিধা’ না পাওয়ায় বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি। যা বর্তমানে ভোমরার বিপরীতে ঘোজাডাঙ্গা বন্দর এলাকায় ট্রাকেই পড়ে রয়েছে। এতে লোকসানের টেনশনে দিন কাটছে সেখানকার ব্যবসায়ীদের। বাংলাদেশে পাঠাতে না পারলে কমদামেই স্থানীয় বাজারে সেগুলো বিক্রি করতে বাধ্য হবেন তারা।  

এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের অনেক এলসি খোলা আছে। কিন্তু ভারতের পেঁয়াজের আমদানি মূল্য বেড়েছে। এছাড়া আমাদের দেশি পেঁয়াজ বাজারে উঠেছে। তাই এখনই পেঁয়াজ আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের সর্বশেষ গাড়িটি ঢুকেছে ১০ ডিসেম্বর। ওপারের বন্দরে যেগুলো বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য আনা হয়েছে, সেগুলো আমাদের বুকিং দেওয়া না।

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ভারত বড় দেশ। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রপ্তানি পণ্য বন্দরে আনতেই তাদের ৫-৭ দিন সময় লেগে যায়। আমরা বন্দরে পৌঁছানোর পর বুকিং দেশ। ভারত হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করায় যেসব পণ্য পথে ছিল, সেগুলোই মূলত আটকে গেছে। যা আমাদের বুকিংকৃত নয়। আমাদের যেসব এলসি খোলা, সেগুলো আমরা পরে প্রয়োজনমতো ব্যবহার করব।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।