ঢাকা: এক সপ্তাহের ব্যবধানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসেব পদ্ধতি অনুসারে সর্বশেষ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার ( বিপিএম৬) বা দুই হাজার ৫৭ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।
একই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ৫৭৬ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাপ্তাহিক নির্বাচিত অর্থনৈতিক সূচকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
তথ্য বলছে, এক মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ৬৩ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৯৪ কোটি ২৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার (বিপিএম৬)। ডিসেম্বরের শুরুতে রিজার্ভ ১৯ বিলিয়নে নামে।
এরপর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি ও দক্ষিণ কোরিয়ার ঋণের ডলার যোগ হলে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এশীয় ক্লিয়ারিং উইনিয়ন-আকুর বিল ও অন্যান্য আমদানি দায় পরিশোধ করলে রিজার্ভ কমতে থাকে। এরপর রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।
২০২১ সালের আগস্টে বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়নের ঘর ছাড়িয়েছিল। এরপর রিজার্ভ থেকে ২৯ বিলিয়ন ডলারের মতো বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ডলারের সংকটের কারণে বাড়তি চাপ তৈরি হয় রিজার্ভে। ২০২১ সাল নাগাদ আমদানির জন্য প্রতি ডলার ৮৫-৮৬ টাকায় পাওয়া যেত। এখন প্রতি ডলারের জন্য ১২২-১২৩ টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। এরপরও কাঙ্ক্ষিত ডলার না পেয়ে এলসি খুলতে পারছেন না, বলে কেউ কেউ অভিযোগ করেন।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জানুয়ারির মাঝামাঝিতে নতুন সরকার যাত্রা শুরু করলে ক্রমান্বয়ে ডলারের সংকট দূর হতে থাকে। এর ফলে রিজার্ভেও চাপ কিছুটা কমে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৪
জেডএ/এসএএইচ