ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বগুড়ায় সাশ্রয়ী মূল্যে মিলছে বসুন্ধরার পণ্য

কাওছার উল্লাহ আরিফ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৪
বগুড়ায় সাশ্রয়ী মূল্যে মিলছে বসুন্ধরার পণ্য

বগুড়া: সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে পবিত্র রমজান মাসে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।  

‘বসুন্ধরার পণ্য, ভোক্তার জন্য’ স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো বগুড়ায় এ কার্যক্রম চলছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা এলাকায় বসুন্ধরার পণ্য কিনতে সাধারণ মানুষে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

সেখানে গিয়ে দেখা যায়, শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা এলাকায় জিলা স্কুলের গেটের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপের সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রির একটি ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। ট্রাকটিতে ৩১টি পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির তালিকা রয়েছে।

সেখানে দেখা যায়, সয়াবিন তেল ১ লিটার ১৬৩ টাকার পরিবর্তে ১৫৫ টাকা, ২ লিটার ৩২৬ টাকার পরিবর্তে ৩১০ টাকা, ৩ লিটার ৪৮৮ টাকার পরিবর্তে ৪৬৫ টাকা, ৫ লিটার ৮০০ টাকার পরিবর্তে ৭৬৫ টাকা, ৮ লিটার ১২৮০ টাকার পরিবর্তে ১২২৫ টাকা, সরিষার তেল ১ লিটার ৩৬০ টাকার পরিবর্তে ২৬৫ টাকা, আটা ১ কেজি ৬৫ টাকার পরিবর্তে ৪৮ টাকা, ময়দা ১ কেজি ৭৫ টাকার পরিবর্তে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া সুজি ২৫০ গ্রাম ২৫ টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা, মসুর ডাল ১ কেজি ১৫০ টাকার পরিবর্তে ১৪০ টাকা, চিনিগুঁড়া চাল ১ কেজি ১৮০ টাকার পরিবর্তে ১৪১ টাকা, সেমাই ২০০ গ্রাম ৩০ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকা, লাচ্ছা সেমাই ২০০ গ্রাম ৫০ টাকার পরিবর্তে ৩৫ টাকা, ইনস্ট্যান্ট মাসালা নুডলস ৮ প্যাক ১৪০ টাকার পরিবর্তে ১১০ টাকা, স্টিক এগ অ্যান্ড চিকেন নুডলস ১৫০ গ্রাম ২৫ টাকার পরিবর্তে ২২ টাকা, পান্ডা অথেন্টিক চাইনিজ নুডলস ৩০০ গ্রাম ৬০ টাকার পরিবর্তে ৪৮ টাকা, সি-শেল পাস্তা ২০০ গ্রাম ৫০ টাকার পরিবর্তে ৩৭ টাকা, ম্যাকারনি অ্যাসরটেড ২০০ গ্রাম ৪৫ টাকার পরিবর্তে ৩৫ টাকা, হলুদ গুঁড়া ৫০০ গ্রাম ২৪০ টাকার পরিবর্তে ১৭৫ টাকা, মরিচ গুঁড়া ৫০০ গ্রাম ৪১০ টাকার পরিবর্তে ৩১৫ টাকা, ধনিয়া গুঁড়া ৫০০ গ্রাম ২৪০ টাকার পরিবর্তে ১৭৫ টাকা, জিরা গুঁড়া ৫০০ গ্রাম ৯০০ টাকার পরিবর্তে ৭৭৫ টাকা, হালিম মিক্স ২০০ গ্রাম ৫৫ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা, মুরগির মসলা ১০০ গ্রাম ৭৮ টাকার পরিবর্তে ৬২ টাকা, বিরিয়ানি মসলা ৪০ গ্রাম ৬০ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা, গরুর মাংসের মসলা ১০০ গ্রাম ৮৪ টাকা পরিবর্তে ৭০ টাকা, কাবাব মসলা ৫০ গ্রাম ৯০ টাকার পরিবর্তে ৭০ টাকা, বোরহানি মসলা ৫০ গ্রাম ৪০ টাকা পরিবর্তে ৩০ টাকা, চটপটি মসলা ৫০ গ্রাম ৪০ টাকার পরিবর্তে ৩২ টাকা, বসুন্ধরা চা (প্রিমিয়াম) ২০০ গ্রাম ১১০ টাকার পরিবর্তে ৮০ টাকা, বসুন্ধরা প্রিমিয়াম টি ব্যাগ ১০০ গ্রাম ৯০ টাকার পরিবর্তে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সাশ্রয়ী মূল্যে বসুন্ধরার পণ্য কিনতে আসা শফিকুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন, মনিকা মনি বাংলানিউজকে জানান, তারা তিনজনই পেশায় বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক। সাতমাথায় বসুন্ধরা গ্রুপের সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রির কথা শুনে কিছু পণ্য কিনতে এসেছেন। সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে পেরে খুশি তারা। কেননা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে।  

তারা বলেন, বাজারে সব কিছুর দাম এত বেশি যে হিসাব করলে দেখা যায়, আয়ের ৬০-৭০ শতাংশই নিত্যপণ্য কেনার পেছনে খরচ হয়ে যায়। তাই প্রয়োজন আর ইচ্ছা থাকলেও সাধ্যের বাইরে থাকায় ঠিকমতো বাজার করা সম্ভব হয় না। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে বসুন্ধরা গ্রুপের এমন আয়োজন প্রশংসনীয়।

ক্রেতা শামীম হাসান, রফিকুল ইসলাম, সিরাজুল মিয়া বাংলানিউজকে জানান, রমজানে বাজারে অনেক কিছুর দামই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এ রকম অবস্থায় বাজার করতে গেলে প্রতিটি মানুষকে মলিন মুখে বাড়ি ফিরতে হয়। দোকানিরা অনেক পণ্যের ইচ্ছে মতো দাম হাঁকান। দাম বেশি কেন জানতে চাইলেই বলেন, পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের কোনো হাত নেই। কিন্তু রমজান মাসে বসুন্ধরার এমন উদ্যোগ সাধারণের মধ্যে স্বস্তি এনেছে। এখানে মূল্য তালিকা ও সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির তালিকাও রয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ পণ্য কিনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। পুরো রমজান মাস এখানে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করবে বসুন্ধরা। তাই তারা এখান থেকেই কেনাকাটা করবেন।

অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার, বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ (উত্তরবঙ্গ) এ কে নাসির আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, রমজান মাসজুড়ে সাধারণ মানুষ যেন সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপণ্য কিনতে পারেন, সেজন্য বসুন্ধরা গ্রুপ এ কার্যক্রম চালাচ্ছে। বগুড়ায় পুরো রমজানে প্রতিদিন এ স্থানে (সাতমাথা এলাকা) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৪
কেইউএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।