ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বৃষ্টি উপেক্ষা করেই আইসিসিবির ইফতার বাজারে ক্রেতার ভিড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৪
বৃষ্টি উপেক্ষা করেই আইসিসিবির ইফতার বাজারে ক্রেতার ভিড় ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: বিকেলের দিকে রাজধানীতে বৃষ্টি হলেও তা থামাতে পারেনি ইফতারপ্রেমীদের। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ‘পুরান ঢাকার ইফতার বাজারে’ বাহারি পদের খাবার কিনতে ভিড় করেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে আইসিসিবির পুষ্পাঞ্জলি হলে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিকেল সাড়ে ৩টার পর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয় এই এলাকায়। এর মধ্যেই ইফতার সামগ্রী কিনতে আসতে থাকেন ক্রেতারা।

ঐতিহ্যবাহী পুরান ঢাকার খাবারের স্বাদ পেতে রমজান মাসের শুরু থেকেই আইসিসিবিতে ভিড় দেখা যাচ্ছে ভোজনরসিকদের। এখানে আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট, ফদুগদু, হাবিবি ফল বাজার ফ্রেশ জুস, মাস্টার শেফ শুভ্রত আলি ক্যাটারিং সার্ভিস, জসিম উদ্দীন ক্যাটারিং, রসুই ঘর, নাজিলাস কিচেন অ্যান্ড ক্যাটারিং, প্রিমিয়ার ক্যাটারিংসহ ৩২টি খাবার প্রতিষ্ঠানের স্টল রয়েছে। এসব স্টলে পরিবেশন করা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী খাবার থেকে শুরু করে আধুনিক সব খাবার।  

আইসিসিবি ইফতার বাজার কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃষ্টি তাদের বেচা-বিক্রিতে বাধা হতে পারেনি। শুধু ঐতিহ্যবাহী খাবার নয়, বরং ক্রেতাদের সন্তুষ্টি বিবেচনায় সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে এই ইফতার বাজারে। বৃষ্টির কারণে ক্রেতাদের ভোগান্তির কোনো সুযোগ নেই। যাতায়াতে সুব্যবস্থার পাশাপাশি ইফতার বাজারকে কেন্দ্র করে রয়েছে সুবিশাল পার্কিং স্পেস।

খাবার কিনতে আসা খিলক্ষেত নামাপাড়া এলাকার বাসিন্দা তানিয়া আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, ইফতারের জন্য ভালো কিছু খাবার কিনতে চাই। তাই বৃষ্টি উপেক্ষা করে আইসিসিবির ইফতার বাজারে এসেছি। বৃষ্টি হচ্ছে, তাই একটু সমস্যা হচ্ছে। তবু পছন্দের খাবার কিনতে পারায় ভালো লাগছে।

আইসিসিবিতে আসা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা রিপন হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টি হলেও আইসিসিবির ইফতার বাজারে আসতে মন টানছিল। ইফতারে কাবাব আইটেম অনেক পছন্দ করি। বৃষ্টির কারণে এখন একটু চাপ কম। তাই সহজেই কেনাকাটা করা যাচ্ছে।

আইসিসিবি কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন ঢাকার বাসিন্দাদের পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতারির স্বাদ দিতে প্রতি বছর এ আয়োজন করা হচ্ছে। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের নিশ্চয়তা দিতে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। মান যাচাই ছাড়া এখানে কোনো খাবার বিক্রি করতে দেওয়া হয় না। ৩০০ ফুট সড়কের পাশে হওয়ায় যানজট এড়িয়ে সহজেই ক্রেতারা এসে ইফতার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিং সুবিধা থাকায় অনেকে গাড়ি রেখে ইফতার করছেন এখানে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৪
ইএসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।