ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মুঘল ঐতিহ্যে মোড়া ‘আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট’র নতুন ভবনের উদ্বোধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৪
মুঘল ঐতিহ্যে মোড়া ‘আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট’র নতুন ভবনের উদ্বোধন ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: মুঘলদের প্রকৃত খাদ্যাভ্যাস সবার কাছে পরিচিত করানোর লক্ষ্যে ২০২১ সালে যাত্রা শুরু করেছিল আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট। ঐতিহ্যবাহী মুঘল খাবারের আয়োজন নিয়ে ঢাকার একমাত্র কনসেপ্ট রেস্টুরেন্ট এটি।

আরও বড় পরিসরে রাজসিক ছোঁয়ায় নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হলো ৩০০ ফিট সংলগ্ন এই রেস্টুরেন্ট।

সোমবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর ৩০০ ফিট সংলগ্ন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) হল-১ সংলগ্ন নিজস্ব প্রাঙ্গণে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন ভবনটির উদ্বোধন করা হয়।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইসিসিবির চিফ অপারেটিং অফিসার এম এম জসীম উদ্দীন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ট্রেজারার ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র ডিএমডি মোস্তাফিজুর রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের সেক্টর এ চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার ক্যাপ্টেন (অব.) শেখ এহসান রেজা, আইসিসিবির হেড অব ডিভিশন (অ্যাকাউন্টস) এস এম মনিরুল ইসলাম পলাশসহ আইসিসিবি ও বসুন্ধরা গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

উদ্বোধনী বক্তব্যে এম এম জসীম উদ্দীন বলেন, মুঘল রাজপরিবারের পোশাক-আশাক ও খাদ্যাভ্যাস যেন এক হিরণ্ময় স্মৃতি। একেকটি রহস্যে ঘেরা গল্প। সেই জৌলুসময় জীবনাচরণের ইতিহাস আজ বিলুপ্তপ্রায়। মুঘলদের খাদ্যাভ্যাস নতুন প্রজন্মকে আমরা জানাতে চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি, তাদের ঐতিহ্যকে ধারণ করতে। আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্টে ঢাকার মানুষ পরখ করতে পারবেন সেসব অসাধারণ খাবারের আয়োজন এবং উপলব্ধি করতে পারবেন রাজসিক জীবন। ঢাকার বুকে মুঘল ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে এ রেস্টুরেন্ট রয়ে যাবে যুগযুগ।  

ভোজনরসিকদের অনুরোধে নতুন ভবনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে এম এম জসীম উদ্দীন আরও বলেন, পূর্বেকার ভবনে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক গ্রাহককে আমরা একসঙ্গে জায়গা দিতে পারতাম না। এখনকার আয়োজনে বড় গ্রুপকে আমরা সাবলীলভাবেই বসে খাবার উপভোগের ব্যবস্থা করে দিতে পারবো। সেইসঙ্গে ৩০০ ফিট এর দৃষ্টিনন্দন লেক এবং সড়কের সৌন্দর্য রেস্টুরেন্ট থেকেই উপভোগ করা যাবে।

এস এম মনিরুল ইসলাম পলাশ বলেন, আইসিসিবিতে চালু হওয়া হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট বাংলাদেশের একটি বিশেষ রেস্টুরেন্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। কারণ শুধু মুঘল খাবারের কোনো রেস্টুরেন্ট এখনো বাংলাদেশে হয়নি। পুরো রেস্টুরেন্টটি সাজানো হয়েছে মুঘল ঐতিহ্যকে ধারণ করে। আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট কেবল উদরপূর্তির মাধ্যম হওয়ার জন্য আসেনি, এসেছে একটি শিল্পকে একটা ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে।

অনুষ্ঠানে আগত এক অতিথি বলেন, মুঘলদের রান্নার স্বাদ ও রাজকীয়তার মেলবন্ধন যুগের পর যুগ মানুষের রসনাকে তৃপ্তি দিয়ে আসছে। আজো আমরা সে লোভনীয় খাবারের রসাস্বাদন করি। কিন্তু সত্যিকার সেই স্বাদ আয়োজনের ঘাটতি বর্তমানে লক্ষণীয়। ধন্যবাদ বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষকে এবং আইসিসিবিকে এ রাজসিক পদক্ষেপের জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২৪
ইএসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।