ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ফেনীতে ফলের বাজারে আগুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৪
ফেনীতে ফলের বাজারে আগুন

ফেনী: দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। ঈদ কেন্দ্র করে পোশাক থেকে শুরু করে খাদ্যপণ্যসহ সবকিছুরই দাম বেড়েছে।

এর ব্যতিক্রম হয়নি ফলের বাজারেও। মানভেদে দেশি-বিদেশি সব ফলের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা।  

বুধবার (১০ এপ্রিল) শহরের বিভিন্ন ফলের বাজার ঘুরে করে দেখা যায়, দেশি-বিদেশি সব ফলের বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরব বিকিকিনি।  
 
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ফলের সরবরাহ করা হয় না। এছাড়া ঈদে পরিবহন খরচ, লেভার খরচসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় ফলের দাম বেড়ে যায়। আড়ৎ থেকে বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হয় বিধায় বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয় বলে জানান তারা। তারা আশঙ্কা করছেন, ঈদের দিন ফলের দাম আরও বাড়তে পারে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, আপেল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৯০-৩২০ টাকা. যা রোজার ১৫ দিনের মাথায় বিক্রি হতো ২২০-২৪০ টাকা, প্রতি ডজন কমলা বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা, যা কয়েকদিন আগেও ছিল ২৪০-২৫০ টাকা, মালটা ২৫০-২৭০ টাকা, যা আগে ছিল ২০০-২৪০ টাকা, আঙুর প্রতিকেজি মানভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০, যা ছিল ২৯০-৩০০ টাকা, আনার কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকা, যা কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০-৩০ টাকা, কলা মান ও আকার ভেদে প্রতিডজন ১০০-১৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে, যা ছিল ৭০-৮০ টাকা, নাশপাতি ২৮০-৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা কিছুদিন আগে বিক্রি হয়েছিল ২৫০-২৭০ টাকা, তরমুজ ছোট সাইজের ১০০-১৫০ টাকা, মাঝারি সাইজের ১৫০-২৫০ টাকা এবং বড় সাইজের বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকা। তবে ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলছেন, তরমুজের দাম আগের তুলনায় বর্তমানে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে।

সালাউদ্দিন ফল বিতানের স্বত্বাধিকারী সালাউদ্দিন বলেন, ঈদে পরিবহন খরচ, লেবার খরচসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যায়, যার কারণে ঈদের দুই তিন আগ থেকে ফলের দাম বেড়ে যায়। তবে ঈদের আগের দিন ফলের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

ফল ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম বলেন, ঈদ ঘিরে ফলের দাম বাড়ছে, সামনে আরও বাড়তে পারে। মানুষের চাহিদা বেশি যার কারণে দাম বাড়তে পারে। আড়ৎ থেকে কম দামে কিনতে পারলে আমরা খুচরা ব্যবসায়ীরা কম দামে বিক্রি করতে পারতাম। বেশি দামে কিনতে হয় তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

সাইফুল ইসলাম নামে আরেক ফল ব্যবসায়ী বলেন, আড়ৎ থেকে বাড়তি দাম দিয়ে কিনে আনতে হয়, যার কারণে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়। গতকাল আড়ৎ থেকে কমলা কিনেছি ক্যারেট প্রতি ১ হাজার ৭০০ টাকা করে। কিন্তু আজ ১৫০ টাকা বাড়তি দিয়ে ১ হাজার ৮৫০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। আমরা ব্যবসায়ীরা যেমন বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে, ক্রেতাদেরও বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হয়।

ক্রেতারা বলছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ার পাশাপাশি ফলের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। রোজার এক সপ্তাহ আগে থেকে ফলের দাম অনেক বাড়ানো হয়েছিল। এখন নতুন করে ঈদ কেন্দ্র করে ফলের দাম বাড়ানো হচ্ছে। দেশি-বিদেশি ফলের ওপর প্রায় ২০-৫০ টাকা করে বেড়েছে। এছাড়া অনেক ক্রেতা বলছেন, ফলের এ বাড়তি দামের কারণে পরিমাণে কম কেনা হচ্ছে। যেখানে ২ কেজি কেনার কথা সেখানে ১ কেজি কেনা হচ্ছে।

রাবেয়া সুলতানা নামে এক ক্রেতা বলেন, রোজার মধ্যেও বাড়তি দাম দিয়ে কিনেছি, এখন ঈদ ঘিরে বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। যেখানে ১ কেজি নেওয়ার ছিল সেখানে আধা কেজি নিতে হচ্ছে। দাম বাড়তি হওয়ার কারণে পরিমাণ কম নিতে হচ্ছে।

হান্নান নামে আরেক ক্রেতা বলেন, প্রত্যেক মৌসুমে ফলের দাম বাড়ে। দাম কমলেও কয়েকদিন পর নতুন নতুন ইস্যুকে কেন্দ্র করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে যার কারণে ক্রেতারাও বাড়তি দাম দিয়ে কিনে নিচ্ছেন। ফলের দাম স্থিতিশীল রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৪
এসএইচডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।