ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসা সহজ করা হচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসা সহজ করা হচ্ছে

ঢাকা: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা যেন বাধাহীনভাবে ও সহজে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার মাধ্যমে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পারেন, সেজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে।

মঙ্গলবার  (১৪ মে) বেলা ১১টায় এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ’বিজনেস রিলেটেড ব্যারিয়ার্স অ্যান্ড পসিবল ওয়ে-আউট’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও জার্মান উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেড বাংলাদেশ।

সেমিনারে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, যেকোনো ব্যবসা উদ্যোগকে সফল ও প্রতিষ্ঠিত করা সরকারের দায়িত্ব। ব্যবসায়ীদের মার্কেট অ্যাক্সেসের সুযোগ তৈরিতেও সরকার কাজ করছে।

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিল্প ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, এফবিসিসিআইসহ বেসরকারি খাতের সব অংশীজন, গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা এবং একাডেমিশিয়ানদের সঙ্গে নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে কাজ করবে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বেসরকারি খাতের বলিষ্ঠ অবদানের প্রশংসা করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, উদ্যোক্তারা সাহস করে ঝুঁকি না নিলে বাংলাদেশে এত দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব ছিল না।  

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবসহ আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজনেস প্রোসেস রি-ইঞ্জিনিয়াংয়ের ওপর জোর দেন তিনি।

সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে শুল্ক ও অশুল্ক বাধার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবসা স্থাপন ও সম্প্রসারণে ব্যবসায়ীদের নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি এবং বাধার সম্মুখীন হতে হয়।  

তিনি বলেন, বিদ্যমান রেগুলেটরি, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা, সনদপ্রাপ্তি ও নবায়নে দীর্ঘসূত্রতা, শুল্কায়ন জটিলতা, সর্বোপরি অস্থিতিশীল আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও বৈশ্বিক নেতিবাচক পরিস্থিতির ফলে ব্যবসায়ীদের পক্ষে স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ সমস্যা দ্রুত সমাধানে সরকারকে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিডা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে ৩৮টি এজেন্সির ১৫০ বেশি সেবা এক ছাতার নিচে পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

সেমিনারে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ঢাকায় অবস্থিত জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন জ্যান জ্যানওসকি বলেন, বাংলাদেশে জার্মানি থেকে বিনিয়োগ আসবে বলে আশা করি।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ও এফবিসিসিআই’র প্যানেল উপদেষ্টা ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে সনদপ্রাপ্তি ও নবায়নের দীর্ঘসূত্রতা ও জটিলতা দ্রুত কমাতে হবে।  

উদ্যোক্তাদের হয়রানি কমাতে সনদ প্রক্রিয়া পুরোপুরি ডিজিটাল করার ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।

সেমিনারে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য ড. মোস্তফা আবিদ খান, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী, সাবেক কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
জেডএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।