ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বসুন্ধরার ঋণে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ফাতেমা

মেহেদ নূর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৪
বসুন্ধরার ঋণে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ফাতেমা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ফাতেমা বেগম। স্বামী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তার এখন সুখের সংসার।

 

তবে সংসার জীবনের প্রথম দিকটা অনেক অভাব অনটনে কেটেছে। স্বামী ওয়ায়েস করনীর দুই পায়ে সমস্যা। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলাফেরা করতে হয়। শারীরিক সমস্যার কারণে পরিশ্রমের কাজকর্ম করতে পারেন না তিনি। ফাতেমা তাই বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন থেকে সুদমুক্ত ঋণ নিয়ে তার স্বামীকে গ্রামের বাজারে ছোট একটি টং দোকান দিয়ে ব্যবসায় বসিয়ে দেন। এ দোকানের আয় দিয়ে দিনে দিনে তাদের সংসারে আসে সচ্ছলতা।

বাংলানিউজকে নিজের সংসার জীবনের এমন গল্প শুনিয়েছেন সংগ্রামী নারী ফাতেমা বেগম।

বুধবার (১৫ মে) মরিচাকান্দি গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পর ফাতেমা বেগম জানান, জন্মের ছয় মাস পর থেকেই তার স্বামীর দুই পায়ে সমস্যা। এরপর থেকে স্বাভাবিকভাবে হাঁটা-চলা করতে পারেন না তিনি। সারাদিন বাড়িতে বসেই তার সময় কাটত। আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সহযোগিতায় সংসার চলত।  

পরে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণের খবর পেয়ে প্রথমে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নেন ফাতেমা। দ্বিতীয়বার আরও ১৫ হাজার টাকা ঋণ আনেন। এ টাকা দিয়ে গ্রামের বাজারে টং দোকান বানিয়ে স্বামীকে বসিয়ে দেন। সেই দোকান এখন ভালোই চলছে। পাশাপাশি তিনি একটি সেলাই মেশিনও কিনেছেন। দুজনের আয়ে তাদের সংসার ভালোই চলছে। এ ঋণ সহায়তার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের জন্য সব সময় মন থেকে দোয়া করেন তিনি। বসুন্ধরার মাধ্যমে তাদের অভাব দূর হয়েছে। দুই ছেলে আর এক মেয়েকে স্কুলে পড়াচ্ছেন।

তার স্বামী ওয়ায়েস করনী আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, আমি গরিব মানুষ। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারি না। আমার স্ত্রী গত বছর বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন থেকে সুদ মুক্ত ১৫ হাজার টাকা ঋণ পেয়েছে। এরপর আবার ১৫ হাজার টাকা ঋণ পেয়েছে। এ টাকা দিয়ে একটি টং দোকান দিয়েছি। ভালো বেচাকেনা হয়। এখন সংসার চালাতে আর কষ্ট হয় না। আমার মতো হাজার হাজার অসহায় মানুষ সুদ ছাড়া টাকা এনে ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। আমরা তো বসুন্ধরার চেয়ারম্যানের জন্য কিছু করতে পারব না, তবে মন থেকে তার জন্য দোয়া করি। আল্লাহ যেন সব সময় তাকে সুস্থ রাখেন। আর দুস্থ মানুষকে সাহায্য করার তৌফিক দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।