ঢাকা: অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেছেন, বাজেটের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, বাস্তবায়ন কীভাবে হচ্ছে ও কোথায় হচ্ছে। তাই বাজেট বরাদ্দে নয়, সমস্যা হয় বাস্তবায়নে।
সোমবার (১০ জুন) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম, ডর্প ও হেলভেটাস বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জলবায়ু, পানি ও স্যানিটেশন বিষয়ক বাজেট প্রতিক্রিয়া’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, আমাদের নীতি তৈরি করায় কোনো সমস্যা নেই, সার্বিক দিক-নির্দেশনায় কোনো ঘাটতি নেই। টেকসই, উন্নয়ন ও কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের কথা বঙ্গবন্ধু যেমন বলেছেন তেমন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন, সমস্যা হয় বাস্তবায়নে।
তিনি বলেন, এবার বাজেটে আমাদের মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরা হলো ৬ দশমিক ৫ শতাংশ ও প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এটা কীভাবে হবে? এ বিষয়ে বাজেট বক্তব্যে কিছু বলাও নেই। চলতি বাজেটে মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ। এটা সারা বছরে কমে তো নাই বরং বেড়েছে। বাজেট দেওয়ার পর আরও বেড়েছে, এখন ১০ শতাংশের কাছাকাছি। অথচ শ্রীলংকার মূল্যস্ফীতিও আমাদের চেয়ে কম। তাদের যেটুকু বেড়েছিল তারা তা নিয়ন্ত্রণ করেছে।
আমাদের যদি এগিয়ে যেতে হয়, তা হলে দুর্নীতির ক্ষেত্রে শূন্য সহনশীল হতে হবে মন্তব্য করে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এবার দুজন রাঘব বোয়ালকে বিচারের মুখোমুখি করার প্রক্রিয়া চলছে। আমি আশা করব, শেষ পর্যন্ত বিচার হবে।
তিনি বলেন, আইএমএফ বলছে, ব্যাংক খাতে সুশাসন বাড়াতে হবে, কর জিডিপি বাড়াতে হবে, বিদ্যুতের দাম ও গ্যাসের দাম বাড়াতে হবে। আইএমএফ’র যে শর্তগুলো মানলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সুসংগঠিত হতে পারতো, সেগুলো বাস্তবায়ন হলো না।
ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ডর্প চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৪
জেডএ/এমজেএফ