ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘তৈরি পোশাকের দাম না বাড়ালে টিকে থাকতে পারব না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
‘তৈরি পোশাকের দাম না বাড়ালে টিকে থাকতে পারব না’

ঢাকা: তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দাম বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, সার্কুলার ফ্যাশন প্রসারের জন্য ব্র্যান্ড এবং উৎপাদনকারীদের মধ্যে সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা তৈরি পোশাক শিল্পের অংশীদার। সকল ব্র্যান্ডকে অনুরোধ করছি, অনুগ্রহ করে আপনারা দাম একটু বাড়ান, অন্যথায় আমরা টিকে থাকতে পারব না।

মঙ্গলবার (১১ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ আয়োজিত পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পের টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রথাগত ’লিনিয়ার’ মডেল থেকে ’সার্কুলার ইকোনমি’তে রূপান্তরে দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ সার্কুলার ইকোনমি সামিটে’ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সামিটে  প্রধান অতিথি ছিলেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প দায়িত্বশীল ব্যবসায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। শিল্পের উন্নয়নে আমরা যখন এগিয়ে যাচ্ছি, আমাদের এই উন্নয়ন যেন টেকসই হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। সার্কুলারিটি এবং উন্নয়নের জন্য সকলের মধ্যে সহযোগিতাই মূল চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দেশে আমরা প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করেছি। আমাদের কারখানাগুলোতে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখছি। পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা টেকসই অনুশীলন করছেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ২০০টিরও বেশি সনদপ্রাপ্ত সবুজ পোশাককারখানা রয়েছে এবং আরও ৫০০ কারখানা সনদ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। উপকরণের ব্যবহার কমিয়ে এবং পুনর্ব্যবহারে আরও গরুত্বারোপের মাধ্যমে বাংলাদেশ সার্কুলার ইকোনমির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সার্কুলারিটি সম্পর্কে আরও জ্ঞান এবং প্রযুক্তির জন্য আমাদের উন্নত দেশগুলির সহায়তা প্রয়োজন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন জ্যান জানোস্কি বলেন, বাংলাদেশের আরও উচ্চাভিলাষী সংস্কার নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। যদিও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রায়শই বিভিন্ন সেক্টরে অগ্রগামী হিসাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তবে প্রতিষ্ঠান, সরকার এবং অনান্য স্টেকহোল্ডারগণ সার্কুলার ইকোনমি বাস্তবায়নের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তারা যেমন দিকনির্দেশনা দিতে পারেন, তেমনি উদ্ভাবন ও বিনিয়োগের ব্যাপারেও ভূমিকা রাখেন।

বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ২০১৬ সালে আমি প্রথমবারের মতো শিল্প বর্জ্যের শতকরা হারের ওপর একটি গবেষণা করতে চেয়েছিলাম এবং বাংলাদেশে সেটি বের করা অত্যন্ত কঠিন ছিল। কিন্তু এখন সবাই জানে বাংলাদেশে বর্জ্যের শতকরা হার কত। আর এ বিষয়টি আমাকে অনেক গর্বিত করে তোলে। বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এতদূর এগিয়েছে যে, আপনি এখন দেখতে পাচ্ছেন আমরা দিন দিন আরও উন্নতি করছি।

দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ফ্যাশন শিল্পের নেতৃবৃন্দ, শিল্প উদ্যোক্তা, সার্কুলারিটি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধি এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।