ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না ডিম-মুরগি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না ডিম-মুরগি

সরকারের নির্ধারিত ডিম ও মুরগির দাম মানছে না রাজধানীর বিক্রেতারা। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা।

আর প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা দরে। আর ডজনের দাম ১৬০ টাকা। রাজধানীর গলি ও কোনো কোনো বাজারে ৬০ টাকায় উঠেছে প্রতি হালি ডিমের দাম।

বাজারে বিক্রি হওয়া এ দাম মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করা দামের চেয়ে বেশি। একইভাবে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগিও।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর ২, ১০ ও ১২ নম্বর সেকশন, ফার্মগেট কলমিলতা বাজার ও মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

রাজধানীর এসব বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। কোনো কোনো বাজারে ১৯০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির প্রতি কেজির দাম  বাজারভেদে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। লেয়ারের (বড় মুরগির) কেজি বাজারভেদে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা।  

বিক্রেতারা বলছেন, আজকাল মুরগির দাম বাড়েনি। কয়েকদিন আগে মুরগির দাম বেড়েছিল, সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে। কেন দাম বেড়েছে এ জবাব তাদের কাছে নেই।  মিরপুর-১৩ এর সিটি করপোরেশন বাজারের বিক্রেতা রইসুল আলী বলেন, মোকামে দাম বাড়লে আমরাও বাড়িয়ে দেই। কেন বাড়লো এর কারণ কি একটা যে বলবো? পাল্টা প্রশ্ন করে দোকানদার।

দাম বৃদ্ধি নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই অধিকাংশ ক্রেতার। বাড়তি দামেই চুপচাপ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ডিম। একই অবস্থা মুরগির ক্ষেত্রেও। মিরপুর-২ এর কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করছেন আমেনা খাতুন। তিনি বলেন, দাম বেশি কেন এইটা বলে লাভ নেই। জিজ্ঞেস করলে একশটা কারণের কথা বলবে।  

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতিটি ডিমের খুচরা ১১ টাকা ৮৭ পয়সা দাম বেঁধে দেয়। আর পাইকারি পর্যায়ে দাম বেঁধে দেওয়া হয় ১১ টাকা ১ পয়সা। সেখানে খুঁচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। এক হালি ডিম কিনলে প্রতিটি ডিমের দাম দিতে হচ্ছে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা।  গলির বাজারে ডিমের দাম আরও বেশি।

কেন বেঁধে দেওয়ার দামের চেয়ে বেশি দামে ডিম বিক্রি করছেন, এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর নেই বিক্রেতাদের। অধিকাংশ দোকানদার জানেন না সরকারের নির্দেশনা। যারা জানে তারা জানান, বহন খরচ, বহন করার সময় ভেঙে যাওয়া ও নষ্ট হওয়ার কারণে কিছুটা বাড়তি দাম হয়েই যায়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতি কেজি সোনালি মুরগির খুচরা পর্যায়ে দাম বেঁধে দিয়েছে ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা। বাজারে বিক্রি খুচরা পর্যায়ে ২৭০ থেকে থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ব্রয়লার মুরগির দাম বেঁধে দিয়েছে ১৭৯ টকা ৫৯ পয়সা। অধিকাংশ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। কোনো কোনো বাজারে ১৯০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি।

বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি করতে বাধ্য করতে সরকারের মনিটারিং ব্যবস্থা জোরদার করার তাগিদ দিয়েছেন ক্রেতারা।

মিরপুরের ১০ নম্বরের সেনপাড়ার বাজারের আমিরুল ইসলাম জানান, সরকার দাম যেমন বেঁধে দিয়েছে, এই দাম কার্যকর করতে  মনিটারিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। তার আগে বেঁধে দেওয়া দাম ক্রেতাকে জানাতে প্রচারের ব্যবস্থাও জোরদার করতে হবে। শুধু দাম বেঁধে দিলে চলবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
জেডএ/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।