নওগাঁ: নওগাঁ শহরের বাজারগুলোতে বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজি দরে। অবশ্য দু-দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ৮০ টাকা কমেছে।
বন্যার কারণে কাঁচা মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে, বাজারে সরবরাহ কম। তাই পণ্যটির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কাঁচা সবজির ব্যবসায়ীরা।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কাঁচা মরিচসহ অন্যান্য সবজির দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ মধ্যস্বত্বভোগীরা। বাজারে যে দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে, ক্ষেতে তার অনেক কম দামে বিক্রি করছেন কৃষকেরা।
অভিযোগ অনুসন্ধানে জানা গেছে কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে কাঁচা মরিচ পৌঁছুতে মধ্যবর্তী ব্যবসায়ীর হাতে যাচ্ছে কেজিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত।
নওগাঁ জেলার সবচেয়ে বেশি কাঁচা মরিচ উৎপাদিত হয় মহাদেবপুর, বদলগাছী, সদর এবং মান্দা উপজেলায়। চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে মোট কাঁচা মরিচ উৎপাদিত হয়েছে ৯৬৫ হেক্টর জমিতে। উল্লেখিত পরিমাণ জমি থেকে এ মৌসুমে মোট ১ হাজার ৯৩০ মেট্রিক টন মরিচ উৎপাদিত হয়েছে।
মহাদেবপুর উপজেলার মহাদেবপুর হাট চকগৌরী হাট এবং মাতাজীহাট এবং বদলগাছী উপজেলার কোলা হাট, ভান্ডারপুর হাটসহ মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর এবং সতিহাটে আজ কৃষক পর্যায়ে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ। পাইকারি ব্যবসায়ীরা এসব হাট থেকে মরিচ কিনে নওগাঁ জেলা সদরেসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন। যে অনুযায়ী আজ নওগাঁর পাইকারি বাজার ১ কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৩২০ টাকায়। অর্থাৎ একজন কৃষক জেলার বড় বাজারগুলোতে এক কেজি মরিচ বিক্রি করেছে ২৫০ টাকায় এবং সেই মরিচ এক হাত বদলেই শহরের পাইকারি বাজারে বিক্রি হয় ৭০ টাকা লাভে।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানান, গ্রীষ্মকালীন মরিচ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই মরিচ শেষ হতে হতেই শীতকালীন মরিচ বাজারে আসতে শুরু করবে। মরিচের মূল্য এমনিতেই কমে যাবে। জেলায় ৮৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন মরিচ চাষ হচ্ছে। মূল্য সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৪
এসএএইচ