বাগেরহাট: উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা ১৬ হাজার ৪০০ টন চাল নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে দুটি বাণিজ্যিক জাহাজ।
ভারতের ধামরা বন্দর থেকে ৭ হাজার ৭০০ টন চাল নিয়ে আসা পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ‘বিএমসি আলফা’ মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর মুরিং বয়ায় নোঙর করেছে।
আর ৮ হাজার ৭০০ টন চাল নিয়ে থাইল্যান্ডের পতাকাবাহী ‘এমভি সি ফরেস্ট’ জাহাজটি ফেয়ারওয়ে বয়ায় অবস্থান করছে।
রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-সচিব মো. মাকরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাহাজ দুটি মোংলা বন্দরে নোঙর করে। জাহাজে আসা চালের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হলে সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) খালাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
জাহাজ দুটির শিপিং এজেন্ট ম্যাঙ্গো শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক সিদ্দিকুর রহমান জালাল বলেন, ভারত থেকে আসা ‘বিএমসি আলফা’ নামের পানামার পতাকাবাহী জাহাজটিতে ৭ হাজার ৭০০ টন এবং থাইল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি সি ফরেস্ট’-এ ৮ হাজার ৭০০ টন চাল রয়েছে। দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে আমরা খালাস শুরু করব।
মোংলা বন্দর এলাকার সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সোবাহান বলেন, এটি ভারত থেকে আসা উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে মোংলা বন্দরে আমদানি করা চালের দ্বিতীয় চালান। বন্দরে আসা দুটি বিদেশি জাহাজে মোট ১৬ হাজার ৪০০ টন চাল রয়েছে। রোববার ভৌত পরীক্ষার জন্য চালের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে সোমবার খালাস শুরু হবে।
এর আগে প্রথম চালানে ২০ জানুয়ারি ভিয়েতনামের পতাকাবাহী ‘এমভি পুথান-৩৬’ জাহাজে ৫ হাজার ৭০০ টন চাল এসেছিল মোংলা বন্দরে।
মোংলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে দেশে আসবে মোট ৩ লাখ টন চাল। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ চাল খালাস করা হবে মোংলা বন্দরে, বাকি ৬০ শতাংশ খালাস করা হবে চট্টগ্রাম বন্দরে।
খুলনার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, এ চালগুলো সরকারিভাবে আমদানি করা হয়েছে। সব নিয়ম মেনে এর খালাস প্রক্রিয়া শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৫
এসআই