ঢাকা: কোনো দেশই পাচার করা অর্থ পাঁচ বছরের আগে ফেরত আনতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘সেমিনার অন বাংলাদেশ ম্যাক্রোইকোনোমিক ল্যান্ডস্কেপ: চ্যালেঞ্জেস ইন দ্য ব্যাংকিং সেক্টর অ্যান্ড দ্য পাথ এহেড’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পাচারের টাকা ফেরত আনার বিষয়ে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বর্তমান সরকার পাচারের টাকা ফেরত আনার কাজ শেষ করতে না পারলে পরবর্তী সরকার যেন সেই উদ্যোগের ধারাবাহিকতা ধরে রাখে। তা না হলে এই উদ্যোগের কোনো সুফল মিলবে না।
তিনি বলেন, কোনো দেশই পাচার করা টাকা পাঁচ বছরের আগে ফেরত আনতে পারেনি। আমরা চেষ্টা করছি। এই সরকারের পক্ষে সম্ভব না হলে পরবর্তী সরকার যেন এই কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যায়।
ব্যাংকি খাত বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক সংস্কারের কথা বলেন গভর্নর। বলেন, কোনো একক পরিবার যদি একটি ব্যাংকের ৮৭ শতাংশ টাকা নিয়ে যায় সেই ব্যাংক দাঁড়াতে সময় লাগে। এত কিছুর পরেও ইসলামী ব্যাংক ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তারা ঋণ দেওয়া শুরু করেছে। এটা হয়েছে মূলত আমানতকারীদের আস্থার কারণে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে গভর্নর বলেন, মূল্যস্ফীতি একদিনে হয়নি। পলিসি টাইটেনিং করার পর অন্তত ১৮ মাস সময় লাগে এর বাস্তবায়ন ঘটাতে। আমাদের ক্ষেত্রে ছয় থেকে সাত মাস হয়েছে। অন্তত আরও পাঁচ মাস লাগবে এর একটি ভালো প্রভাব দেখতে। আমরা মনিটরি পলিসিকে এখনও সংকোচনমুখীই রেখেছি।
৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাত সংস্কারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনেক ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান গভর্নর। তিনি বলেন, বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হার এখন অনেক বেশি স্থিতিশীল। রিয়েল ইফেক্টিভ এক্সচেঞ্জ রেটও ভালো। আমাদের রেমিট্যান্সের প্রবাহ ভালো।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন ইআরএফ এর সহ-সাধারণ সম্পাদক মানিক মুনতাসির।
আরও পড়ুন>>ডলার ও রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তা কেটে গেছে: গভর্নর
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
জেডএ/এসএএইচ