ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১৭ রমজান ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আইসিসিবির ইফতার বাজারে কাবাবের সমারোহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৫
আইসিসিবির ইফতার বাজারে কাবাবের সমারোহ আইসিসিবির ইফতার বাজারে রয়েছে কাবাবের সমাহার | ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: রমজানের শুরু থেকেই জমজমাট হয়ে উঠেছে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ইফতার বাজার। হরেকরকম ইফতারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।

তবে এবারের বাজারে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ছে বাহারি কাবাবের সমাহার।

আইসিসিবির ইফতার বাজারে চিকেন শিক কাবাব, চিকেন হাঁড়িয়ালি কাবাব, বিফ শিক কাবাব, মাটন জালি কাবাব, চিকেন তান্দুরি কাবাব, চিকেন জালি কাবাব, আস্ত চিকেন কাবাবসহ নানারকম কাবাবের সমারোহ দেখা যায়। এ ছাড়াও, এখানে বিভিন্ন ধরনের হালিম, বিরিয়ানি, জিলাপি, শরবতসহ আরও অনেক মুখরোচক ইফতারসামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেলে আইসিসিবির হল-৫ পুষ্পাঞ্জলিতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ইফতারের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ইফতার বাজারে ক্রেতাদের ভিড় তত বাড়ছে। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এখানে আসছেন তাদের পছন্দের ইফতারসামগ্রী কিনতে।

কামাল হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, আমি প্রতি বছর আইসিসিবির ইফতার বাজার থেকে ইফতার কিনি। এখানকার কাবাবের স্বাদ অতুলনীয়। এই বাজারে কাবাবের বৈচিত্র্য দেখে আমি মুগ্ধ। খাবারের মান খুবই ভালো।  

ছোট ভাইকে নিয়ে আইসিসিবির ইফতার বাজারে এসেছেন দুবাই প্রবাসী রিফাত আহমেদ। তিনি বলেন, দুবাইতে থাকি, কিন্তু বাংলাদেশের ইফতার বাজারের এই আয়োজন দেখে মন ভরে গেল। দাম একটু চড়া হলেও কাবাবের পরিমাণ ও কোয়ালিটির তুলনায় তা সঠিক। বিকেলে ইদের কেনাকাটার জন্য বের হয়েছিলাম। আইসিসিবির ইফতার বাজারের প্রশংসা শুনে এখানে এসেছি বাসার জন্য কিছু ইফতার কিনতে। ৬৫০ টাকায় আস্ত চিকেন কাবাব ও ২২০ টাকায় বিফ শিক কাবাব কিনেছি।

আইসিসিবির ইফতারি কেনার পাশাপাশি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনেক রোজাদারকে বসে ইফতারের প্রস্তুতি নিতেও দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সব ইফতার করতে এসেছেন ভোজনরসিকরা।

আইসিসিবি কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন ঢাকার বাসিন্দাদের পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতারির স্বাদ দেতে প্রতি বছর এ আয়োজন করা হচ্ছে। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের নিশ্চয়তা দিতে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। মান যাচাই ছাড়া এখানে কোনো খাবার বিক্রি করতে দেওয়া হয় না। ৩০০ ফুট সড়কের পাশে হওয়ায় যানজট এড়িয়ে সহজেই ক্রেতারা এসে ইফতার কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিং সুবিধা থাকায় অনেকে গাড়ি রেখে ইফতার করছেন এখানে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৫
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।