ঢাকা: রপ্তানি বাড়াতে দ্বিতীয় প্রজন্মের তরুণ উদ্যোক্তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। উদ্যোক্তা নেতারা এমনটাই জানিয়েছেন।
তাদের মতে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাকের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের মতো চ্যালেঞ্জও সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। কারণ এখন উদ্যোক্তাদের দলে যুক্ত হয়েছেন আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, প্রযুক্তি নির্ভর ও বৈশ্বিক বাজার সম্পর্কে সচেতন দ্বিতীয় প্রজন্মের তরুণ উদ্যোক্তারা, যারা খাতকে আরও এগিয়ে নিতে প্রস্তুত।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) আসন্ন (২০২৫-২০২৭) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সম্মিলিত পরিষদের নেতারা বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
মিট দ্য প্রেসে বক্তব্য দেন সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, প্যানেল লিডার ও চৈতী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম এবং বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক ফারুক হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুস্তাজিরুল শোভন ইসলাম।
বিজিএমইএ নেতারা বলেন, অস্থিরতা ও এলডিসি উত্তরণ-উত্তর বাণিজ্য বাস্তবতায় বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এক্ষেত্রে সম্মিলিতভাবে কাজ করাই প্রধান শক্তি। সমস্যা যতই আসুক, একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তারা বলেন, গত ১৫ বছরে তৈরি পোশাক খাতের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগে কেউ কেউ নির্লজ্জ চাটুকারিতা করেছেন। এর মাধ্যমে বিজিএমইএকে কেউ কেউ রাজনৈতিক সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেছেন এবং প্রতিষ্ঠানকে হেয় করেছে। উদ্যোক্তাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও বিজিএমইএকে আগামীতে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করা হবে।
মিট দ্য প্রেসে বলা হয়, অতীতে বিজিএমইএ ‘বাটেক্সপো’ অনুষ্ঠান আয়োজন করতো। এতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারি দলের প্রধান এবং সমাপনীতে বিরোধী দলের নেতা উপস্থিত থাকতেন। দলমত নির্বিশেষে সবার প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিজিএমইএকে গড়ে তোলা হয়েছিল। আগামীতে এই ধারা পুনরুদ্ধার করা হবে।
প্যানেল লিডার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, আমরা গত দুই দশক ধরে বিজিএমইএর সদস্যদের স্বার্থে মাঠে থেকে কাজ করেছি। এবারও আমাদের পরিকল্পনায় থাকবে প্রযুক্তি নির্ভর বিজিএমইএ, স্মার্ট সার্ভিস, নবীন উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ, এসএমই কারখানার উন্নয়ন, সোলার এনার্জির বিস্তার এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডিংকে শক্তিশালী করা।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি করি না। আমাদের দায়িত্ব হলো দায়িত্বশীলভাবে সদস্যদের পাশে থাকা এবং তাদের দাবিকে শক্ত কণ্ঠে সরকার ও আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালক শোভন ইসলাম বলেন, সামনে শুধু নির্বাচনই নয়, এটি এমন একটি সময়, যখন সঠিক মানুষকে দায়িত্ব দিয়ে আমরা বিজিএমইএকে নতুন যুগে প্রবেশ করাতে পারব। আসন্ন মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদের ৩৫টি পদের জন্য মোট ৭৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম — দুটি প্ল্যাটফর্ম তাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা দিয়েছে।
জেডএ/আরএইচ