ঢাকা, শনিবার, ৪ আশ্বিন ১৪৩২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

দক্ষিণ এশিয়ার সম্পদ ব্যবহারে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:১১, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫
দক্ষিণ এশিয়ার সম্পদ ব্যবহারে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন গুলশানের একটি হোটেলে ‘অ্যাডভান্সমেন্ট গ্লোবাল অ্যান্ড রিজিওনাল ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনার হয়েছে

ঢাকা: সার্কভুক্ত দেশগুলোর নিজেদের সম্পদকে কাজে লাগাতে পারলে পণ্যের চেয়েও বড় কিছুর দুয়ার খুলে যাবে বলে মনে করছেন সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এসসিসিআই) প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন।  

তিনি বলেন, আমরা নতুন বাজার আবিষ্কার করব, কৌশলগত অংশীদারিত্ব সৃষ্টি করব এবং আমাদের অর্থনীতিকে রূপদানকারী উদীয়মান দিকগুলোতে মনোনিবেশ করব।

এভাবে আমরা সম্মিলিতভাবে ‘মেড ইন সাউথ এশিয়া’ ব্র্যান্ডকে বিশ্ব মঞ্চে উন্নীত করব।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘অ্যাডভান্সমেন্ট গ্লোবাল অ্যান্ড রিজিওনাল ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  

সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসসিসিআই)।

জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ দরকার। আজ টেকসই জ্বালানির কথা বলছি, নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বলছি। নেপাল-ভুটানে বিদ্যুতের সমৃদ্ধ উৎস আছে। দক্ষিণ এশিয়ার সবগুলো দেশের এমন অনেক ক্ষেত্র আছে, যেগুলো বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটান মিলে উন্মোচন করতে পারি। এর মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারব।

সার্ক সভাপতি জসিম উদ্দিন দক্ষিণ এশিয়ার সম্পদভিত্তিক বেসরকারি খাতকে সংগঠিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা মধ্যপ্রাচ্য থেকে এলএনজি নিয়ে আসি, কোনো কোনো সময় যুক্তরাষ্ট্র থেকেও নিয়ে আসছি। এ জন্য বাড়তি অর্থ যেমন গুণতে হয়, পাশাপাশি বাড়তি সময়ও দিতে হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতির ৮০ ভাগের বেশি বেসরকারি খাত দ্বারা পরিচালিত হয়। তেমনি ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটানেরও। আমরা বেসরকারি খাত যদি সোচ্চার হই, সার্ক চেম্বার ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এসব বিষয় নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারি, তাহলে সম্মিলিত আঞ্চলিক ব্যবসা-বাণিজ্যের শক্তি গড়ে তুলতে পারব।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাসরুর রিয়াজ বলেন, বৈশ্বিক রাজনীতি পরিবর্তন হচ্ছে। রাজনৈতিক বৃত্ত (পলিটিক্যাল অর্ডার) পরিবর্তন হচ্ছে, আঞ্চলিকতা বাড়ছে, সংরক্ষণবাদ (প্রটেকশনিজম) বাড়ছে। ট্যারিফ বাড়ানোর মাধ্যমে যেটা আরও গভীর হচ্ছে। এ পরিবর্তনগুলোতে বড় ভূমিকা রাখছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত ও ডিজিটাল ইকোনমি।

তিনি বলেন, পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশগুলো নিয়ে যে কাঠামো, সেখানে বয়স ও অভিমুখ (অরিয়েন্টেশন) তাদের অভ্যন্তরীণ নীতিকে প্রভাবিত করছে। এটা সরাসরি বৈশ্বিক রাজনীতিতে প্রভাব ফেলছে। এর ফলে বৈশ্বিক বিনিয়োগ কমছে; বৈশ্বিক অর্থনীতির অনিশ্চয়তা প্রায় তিন গুণ বেড়ে গেছে। একই নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বৈশ্বিক বাণিজ্যেও। এর ফলে বৈশ্বিক যে ২.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল সেটা কমে দশমিক ২ শতাংশে নেমেছে। ২০২৪ সালে এশিয়ার দেশগুলোতে ৪ শতাংশ কমেছে। এর ফলে টেকসই অর্থনীতির যে আকাঙ্ক্ষা, তা বিশ্বজুড়ে কমেছে।

জেডএ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।