পোশাকশিল্পে (গার্মেন্টস সেক্টর) দক্ষ ও নেতৃত্বগুণ সম্পন্ন পেশাদার তৈরি করতে এমবিএ কোর্স সাজিয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সটাইলস (বুটেক্স)।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের হোটেল হলিডে ইনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই শিল্পবান্ধব কারিকুলাম নিয়ে শিল্পের মালিক ও ব্যবস্থাপকদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বুটেক্সের উপাচার্য ড. জুলহাস উদ্দিন বলেন, এই কোর্সটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা পোশাক শিল্পের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বা সিইও হিসেবে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, এই ধরনের বিশেষায়িত কোর্স বাংলাদেশে আর কোথাও নেই এবং এটি ভবিষ্যৎ নেতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন বুটেক্স এর প্রফেসর ড. মো. মাসুম।
অনুষ্ঠানে আরএইচ কর্পোরেশনের নির্বাহী পরিচালক হাফিজুর রহমান জানান, বুটেক্সের নতুন এই কারিকুলাম বাস্তবে ব্যবসায়িক জীবনের জটিল সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য উপযুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই কারিকুলামের মাধ্যমে সত্যিকারের উদ্যোক্তা ও নেতৃত্ব তৈরি হবে।
গ্রামীণ নিটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের গার্মেন্টস শিল্প প্রযুক্তিগত দিক থেকে এখনও দুর্বল। এই শিল্পের উন্নতির জন্য ব্যবস্থাপনা এবং প্রযুক্তির মধ্যে একটি শক্তিশালী সমন্বয় থাকা জরুরি।
আনোয়ার হোসেন বলেন, চীন প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে থাকার কারণেই বিশ্বজুড়ে পোশাক শিল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
সেন্টসবেরিজের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক নাসিমুল গনি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা প্রায়ই মার্চেন্ডাইজিংয়ে আগ্রহী হয়, কিন্তু কারিগরি বা টেকনিক্যাল বিভাগে তেমন যেতে চায় না। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রেই বিদেশি কর্মীরা এই শূন্যস্থান পূরণ করে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের কারিগরি জ্ঞান ভালো হলেও দুর্বল যোগাযোগের কারণে আমরা পিছিয়ে পড়ছি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভিয়েল্লাটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও ডেভিড হাসনাত, মাসকো গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব মিলটন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. তৌহিদুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
এই পরিশোধিত এমবিএ কোর্সটি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে দক্ষ জনবল এবং শক্তিশালী নেতৃত্ব তৈরি করার ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইএসএস/এসআরএস