রাশিয়া, সৌদি আরব ও কাফকো থেকে ৯৫ হাজার টন সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৩৫ হাজার টন এমওপি এবং ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় রাশিয়া থেকে ৩৫ হাজার টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। রাশিয়ার জেএসসি ‘ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন’ থেকে এই সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৫৪ কোটি ৯০ লাখ ৫১ হাজার টাকা। প্রতি টনের দাম ধরা হয়েছে ৩৬১ ডলার।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে, সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সার আনতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৩৪ লাখ ২৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৬৪ কোটি ৫৯ লাখ ৫ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ৪৪৭.৫০ ডলার।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ’র কাছ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সারের জন্য ব্যয় হবে ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৬ হাজার ২৫০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৫২ কোটি ৫৯ লাখ ১০ হাজার ২৫০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ৪১৪.৮৭৫ ডলার।
এ ছাড়া বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় প্যাকেজ-৪ এর লট-২ (রাজশাহী-২৫০০০ টন)-এর অধীন ১টি সাইটে গোডাউন নির্মাণ কাজের ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
যৌথভাবে মেসার্স মার্ক বিল্ডার্স লিমিটেড (এমবিএল) এবং রওশন এলিভেটর লিমিটেড (আরইএল) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৬৭ কোটি ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৬৬৯ টাকা। প্রকল্পের আওতায় রাজশাহীতে ২৫ হাজার টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন বাফার গুদাম নির্মিত হলে ওই অঞ্চলে কৃষকদের প্রয়োজনমত সার সরবরাহ এবং আপদকালীন সার মজুদ সহজ হবে।
জিসিজি/এমজেএফ