ঢাকা: আগের বছরের তুলনায় ২০০৯ সালে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে। ‘ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট-২০১০’ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিনিয়োগ বোর্ডের সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে বাংলাদেশে ৭০ কোটি ১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। আর ২০০৮ সালে এর পরিমাণ ছিল প্রায় ১০৮ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। অর্থাৎ ২০০৯ সালে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ কমেছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা।
অনুষ্ঠানে বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. এস এ সামাদ বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগ কমলেও দেশে স্থানীয় বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। ’
বাংলাদেশের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আরও কমেছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ কম হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এতোদিন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটের কারণে বিদেশি বিনিয়োগ কম হচ্ছে বলা হলেও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দায়ি করছেন আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে। ’
এস এ সামাদ জানান, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগের দ্বার সবার জন্য উম্মুক্ত। এখানে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কখনো ক্ষতির শিকার হননি, সরকার কখনোই তাদের এদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে চলে যেতে বাধ্য করেনি। এরপরও বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়াটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। তবে এটাও ঠিক বাংলাদেশে এখন যে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি তাতে এর চেয়ে বেশি বিনিয়োগ আশা করা যায় না। ’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম ইসমাইল হোসাইন চলতি বছর বিদেশি বিনিয়োগের অবস্থা ভালো উল্লেখ করে বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুবিধা-অসুবিধা দেখতে হবে। যে বিনিয়োগে অসুবিধা বেশি তা উপেক্ষা করতে হবে। আর সুবিধাজনক বিনিয়োগে সঠিক সময়ে ইতিবাচক সাড়া দিতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১০