ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘দ.কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূলে বিদেশি বিনিয়োগ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৪
‘দ.কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূলে বিদেশি বিনিয়োগ’ ‘কোরিয়ার উন্নয়ন অভিজ্ঞতা: বাংলাদেশের জন্য শিক্ষা’ শীর্ষক সংলাপে অংশ নেওয়া আলোচকবৃন্দ।ছবি / জাহিদুল ইসলাম / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ(এফডিআই) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে জানিয়েছেন কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুনসাঙ কং।
 
মঙ্গলবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত সংলাপে ‘বিশ্বায়নে কোরিয়ার অর্থনীতি’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এ কথা বলেন তিনি।


 
‘কোরিয়ার উন্নয়ন অভিজ্ঞতা: বাংলাদেশের জন্য শিক্ষা’ শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশে কোরিয়ান দূতাবাস এবং সেন্টার ফর ফলিসি ডায়ালগ(সিপিডি)।
 
মুনসাঙ বলেন, কোরিয়ার আধুনিক অর্থনীতির প্রারম্ভে বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হয়। অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়ন সংস্থার (ওইসিডি)সদস্য হওয়ার পর কোরিয়ায় ১৯৯৭ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ১১৭.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। প্রধানত ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোরিয়ায় এ বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ আসে। ১৯৯৯ সালে কোরিয়ায় ১১ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগের রেকর্ড সৃষ্টি হয়।
 
কোরিয়া বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে তৎকালীন সরকার আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করে। যার মধ্যে রয়েছে- বহুজাতিক বিনিয়োগ প্রকল্পে টাস্কফোর্স সহায়তা দেওয়া; যন্ত্রাংশ, কাঁচামাল ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগে বিশেষ সুবিধা; সেবাখাতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো, তিনটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন; জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রকল্পে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা অন্যতম।

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ সরবরাহ করতে কোরিয়ান সরকার বিদেশি কোম্পানিগুলোকে সহজে প্লট বরাদ্দ, প্লট ব্যবহারে আইন শিথিলকরণ, ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রণোদনা ঘোষণা, অ্যাডভ্যান্স ট্যাক্স, অ্যাকাউন্টিং এবং বিদেশি বিনিময় সিস্টেম স্থাপন, আইপিআর শক্তিশালীকরণ, কোম্পানিগুলোতে কার্ম পরিবেশ উন্নত করণ, শ্রম ব্যবস্থাপনার স্থিতিশীলতা, বিদেশি বিনিয়োগে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিদেশিদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন এবং অভিবাসন ব্যবস্থা যুগোপযোগী করা এবং ভাষাগত জটিলতা দূর করার ব্যবস্থা করে।
 
এছাড়া কোরিয়ায় বিদেশি বিনিয়োগের সামগ্রিক সুবিধাগুলোর মধ্যে ছিল- বিদেশি কোম্পানিগুলোর প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা অভ্যন্তরীণ ফার্মগুলোর ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, প্রযুক্তি হস্তান্তর জোরদার করে, ফার্মগুলোকে নতুনভাবে গড়ে তোলে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ত্বরান্বিত করে, প্রতিযোগিতা জোরালো করে এবং মানব পুঁজি গঠনে সহায়তা করে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৪

** ‘দেশের উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে শেখার আছে’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।