ঢাকা: চলতি বছরে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে। সে বিবেচনায় বাড়বে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিও।
গতবছর উন্নয়নশীল দেশগুলো হতাশায় কাটালেও জ্বালানি তেলের মূল্য ও সুদের হার হ্রাস, অভ্যন্তরীণ উঠতি বাজার এবং যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী অর্থনীতি এ বছরকে তাদের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে আবির্ভূত করবে।
মঙ্গলবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসফেক্টস’ (জিইপি) প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০১৪ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৬ শতাংশ, যা এ বছরে বেড়ে ৩ শতাংশে দাঁড়াবে। আর ২০১৬ সালে বেড়ে দাঁড়াবে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে। অবশ্য, তার পরের বছর ২০১৭ সালে কিছুটা কমে দাঁড়াবে ৩ দশমিক ২ শতাংশে।
এতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রসঙ্গে বলা হয়, গত বছরে এসব দেশের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরে তা ৪ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়াবে।
দেশগুলোর অর্থনৈতিক ভিত মজবুত করার মাধ্যমে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে যথাক্রমে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৩ এবং ৫ দশমিক ৪ শতাংশ হবে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেন, অনিশ্চিত অর্থনৈতিক পরিবেশে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রয়োজন তাদের সম্পদ রক্ষায় বিনিয়োগ ও সামাজিক কাজগুলোতে জোর দিয়ে এগিয়ে যাওয়া। বিশেষ করে এসব দেশের দারিদ্র্য ও বিনিয়োগের অবকাঠামো সংস্কার করতে হবে।
এর আগে, অবশ্যই বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য অপ্রত্যাশিত বাধাগুলো দূর করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেসরকারি খাতের সর্বোত্তম পন্থা হলো চাকরি, এর মাধ্যমে লাখো লোককে দারিদ্র্যমুক্ত করা সম্ভব।
জিইপি প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট সংস্কারে ইউরো জোন এবং জাপানেরও টার্গেট রয়েছে। এশিয়ার সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক শক্তি চীনও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে, ২০১৫ সালে দেশটির প্রবৃদ্ধি ধীরগতিতে এগোবে। ২০১৪ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৪ শতাংশ থাকলেও চলতি বছরে তা হবে ৭ দশমিক ১ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫