ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পেট্রোল বোমা ও পুলিশি হয়রানির শিকার শ্রমিক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫
পেট্রোল বোমা ও পুলিশি হয়রানির শিকার শ্রমিক ছবি: রাশেদ / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেছেন, বর্তমানে সাধারণ মানুষের জীবনের কোনো গ্যারান্টি নেই।

শ্রমিকেরা যখন কাজ করতে বাইরে আসেন তখন তারা পেট্রোল বোমা হামলার শিকার হচ্ছেন।

অপরদিকে পুলিশ যখন পাইকারি হারে গ্রেফতার করেন তখনও অনেক শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়।

শনিবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘লাখো শ্রমিকের বুকফাটা কান্না (Heart rending cry of million workers)’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, পেট্রোল বোমা ও পুলিশের পাইকারি গ্রেফতার বাণিজ্য চলছে। এতে করে শ্রমজীবি মানুষ পেট্রোল বোমা ও পুলিশের পাইকারি গ্রেফতারের মুখে পড়ছেন।

বর্তমান শ্রমিকেরা জীবনের অস্তিত্বের হুমকির মুখে পড়েছেন। একদিকে আওয়াম লীগ দমন-পীড়ন করছে, অপরদিকে বিএনপি জনগণকে একত্রিত না  পেরে পেট্রোল বোমা মারছে। পেট্রোল বোমা মারার দায় বিএনপিকে নিতে হবে।

আনু মোহাম্মদ বলেন, শ্রমজীবী মানুষের রাজনৈতিক ক্ষমতা নেই বলে তাদের ওপর দমন-পীড়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রকৃত পক্ষে একটি শ্রমিক-মজুরের দেশ। লাখ লাখ কৃষি ও পরিবহন শ্রমিক রয়েছেন এ দেশে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো তাদের স্বার্থ রক্ষা করে না। তাই শ্রমিকেরা কোনো দলের কাছে কিছু আশা করেন না।

তিনি আরো বলেন, সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষণ করা দরকার। সরকার মনে করে, বিএনপি পেট্রোল বোমা মারলে বিএনপি ও জামায়াতের প্রতি সবাই ধিক্কার দেবে। এটি ভুল ধারণা। অপরদিকে অবরোধে পেট্রোল বোমা মারার দায় বিএনপিকে নিতে হবে।

আনু মোহাম্মদ আরো বলেন, তাজরিন ও পেট্রোল বোমার আগুনে পুড়ছে শ্রমিক। এ অবস্থার পরিবর্তনে শ্রমিকদের যতো সংগঠন আছে তাদের এক হতে হবে।

তিনি আরো বলেন, তাজরীন ও রানা প্লাজার মতো ঘটনা ঘটলে মিডিয়াতে না আসার উপায় থাকে না। কিন্তু কিছু ঘটনা ধামাচাপা পড়ে প্রভাবশালীদের চাপে। প্রভাবশালীরা চান, সকল ঘটনা মানুষকে ভুলিয়ে দিতে। স্মৃতি থেকে সকল ঘটনার চিহ্ন মুছে ফেলার পাঁয়তারা করছে শাসক শ্রেণী।

তিনি আরো বলেন, লড়াই করে এই স্মৃতিকে ধরে রাখতে হবে। ইতিহাসের মধ্যে চিহ্ন হিসেবে রাখতে হবে। এসব ঘটনাকে স্মৃতিতে রাখাও এক ধরনের সংগ্রাম। কতোজন শ্রমিক মরে গেছেন, তার কোনো তালিকা সরকারের নেই। এটা না থাকার কারণ অছে! অনেক সময় হতাহতের সংখ্যা গায়েব করা হয়। এতে মালিকের অনেক লাভ হয়।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ, প্রবীণ আইজীবী ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল-গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারশনের নারায়নগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজিব ওয়াদ্দীন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।