ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৩ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৫
অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে ছবি : রাজিব /বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আগামী অর্থবছরের (২০১৫-১৬) বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
 
তিনি বলেন, আমি যেটা পছন্দ করি না সেই অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের দাবি উঠেছে।

নরমাল (স্বাভাবিক) আইনে জরিমানা দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের যে সুযোগ আছে, আমি সেটাই রাখবো।
 
সোমবার (১১ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিভিন্ন কমিটির চেয়ারম্যানদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা জানান।
 
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার কীভাবে চিহ্নিত করা যায়, সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অর্থ পাচার করে মালয়েশিয়ায় বাড়ি করেছে। দুবাইতে বাড়ি করেছে। এগুলো যদি চিহ্নিত করা যায়, তবে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
 
ঢাকা শহরের প্রত্যেক বাড়ির মালিকদের ওপর আয়কর আরোপ করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন,  জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জরিপে যেসব বাড়িতে গ্যাসের লাইন পাওয়া গেছে, তাদের ওপরও আয়কর বসিয়ে দেওয়া হবে।
 
পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে, প্রাতিষ্ঠানিক গাড়িগুলো কেন আয়করের মধ্যে আনা হয় না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এবার এসব গাড়িতে কর বসিয়ে দেবো।

এটি আরো আগেই করা উচিত ছিল বলেন অর্থমন্ত্রী।
 
শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে শিক্ষকের মান উন্নত করার পরামর্শ এসেছে। আগামীতে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান আর এমপিও করা হবে না। তবে সরকার থেকে স্কুলগুলোকে অনুদান দেওয়া হবে।
 
‘কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির’ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি’ মানুষের চরিত্র নষ্ট করে। এর মাধ্যমে কোনো কাজ হয় না। বরং এর থেকে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ভালো। এটি কীভাবে কার্যকর করা যায়, সে বিষয়ে একটি গাইড লাইন করতে হবে।
 
কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি উঠে যাবে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, তাৎক্ষণিক এটি ওঠানো যাবে না। তবে এটি পর্যায়ক্রমে বন্ধ হওয়া উচিত।
 
মন্ত্রী বলেন, ভ্যাট আইনটা জটিল। এটি কীভাবে মানুষের কাছে সহজবোধ্য করা যায়, সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, ভ্যাট আইনটা জটিল হলেও ভালো। তারপরও আমরা এটি বিবেচনা করে দেখবো।
 
বিনিয়োগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগের জন্য জমির অভাব আছে। কিন্তু দিনাজপুর, রংপুরসহ কিছু কিছু স্থানে জমি আছে এবং সেখানে এখনো সেইভাবে জনসংখ্যা বাড়েনি। বিনিয়োগের জন্য যদি কেউ আসে, তাদের এসব স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে।
 
তিনি বলেন, বিনিয়োগের বিষয়ে স্বাভাবিকভাবেই গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিদ্যুৎ আমরা কিছু কিছু দিতে পারছি। তবে গ্যাসে সে রকম করা মুশকিল। কারণ, গ্যাসের নির্দিষ্ট মজুদ আছে বলেন অর্থমন্ত্রী।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০৫১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৫
এএসএস/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।