ঢাকা: বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে পরিবেশ সুন্দর হবে, রাজস্ব আয় বাড়বে এবং দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে এটি ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
রোববার (মে ১৭) রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেক শো’র এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান এ কথা বলেছেন।
‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন’ শীর্ষক এ কর্মশালার যৌথভাবে আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) ও ডেনমার্ক দূতাবাস।
এ সময় ‘ওয়েস্ট টু এনার্জি স্কেলআপ’প্রজেক্টের উদ্বোধন করেন ড. আতিউর রহমান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন যে কোনো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। বর্জ্য থেকে পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদন নানাভাবে সমাজকে উপকৃত করবে। এটি গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন কমাবে এবং একটি সবুজ অর্থনীতি উন্নয়নের পথে অবদান রাখবে।
বাংলাদেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে জ্ঞানার্জনের জন্য কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ায় আইএফসি ও ডেনমার্ক দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. আতিউর রহমান বলেন, এটি নিঃসন্দেহে ব্যক্তিগত ব্যবসা ও জ্ঞানার্জনের কেন্দ্র। এটি পোলট্রি ও ডেইরি খামারের মধ্যেও আন্তঃবাজার সম্পর্ক নিশ্চিত করবে।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, ব্যবসায়িক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নেতাদের সহায়তা বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
এ পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে অর্থায়ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে আতিউর বলেন, এটি বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য শক্তি উৎপাদনে একটি বিরাট উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বেশ কয়েকটি আর্থিক সুবিধা চালু রেখেছে। পোলট্রি বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জাতীয় কর ক্রেডিটের ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সব সময় পরিবেশবান্ধব উচ্চ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আশা করি। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যাংকিংখাতকে ধীরে ধীরে সামাজিক দায়বোধে প্রণোদিত অর্থায়ন ধারায় শামিল করেছে। কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত নীতি সহায়তাসহ পরিবেশবান্ধব সবুজ প্রোডাক্ট উৎপাদনে অর্থায়ন বাড়ানোর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
সবুজ উদ্যোগে অর্থায়নকে ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন তহবিল চালু করেছে। এর আওতায় ৪৭টি গ্রিন প্রোডাক্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তিনি জানান।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনিস রাষ্ট্রদূত হ্যান ফুগল এস্কজেইয়ার, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য ড. মো. রফিকুল হক, আইএফসি’র সিনিয়র এনার্জি স্পেশালিস্ট চন্দ্রশেখর গোবিন্দরাজালু, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের আইএফসি কান্ট্রি ম্যানেজার কাইল এফ কেলহোফার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৫
এজেডকে/আরএম