ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রকল্প ২ বারের বেশি সংশোধন নয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪১ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৫
প্রকল্প ২ বারের বেশি সংশোধন নয় আ হ ম মুস্তফা কামাল

ঢাকা: কোনো প্রকল্প ২ বারের বেশি সংশোধন করা হবে না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
 
রোববার (১৭ মে‘২০১৫) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


বৈঠক পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, প্রকল্প আরও বেশিদিন জিইয়ে রাখতে প্রকল্প পরিচালক তার সঙ্গে আরো অনেক কিছু জুড়ে দিয়ে এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করেন। এ ধরনের প্রকল্পকে সংশোধিত আকারে অনুমোদন দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে নতুন প্রকল্প নেওয়া হবে। একনেকে যেভাবে অনুমোদন হবে, ঠিক সেভাবেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায়, একটি প্রকল্পের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে।
 
প্রকল্প বাস্তবায়নে গড়িমসি বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বছর শেষে প্রকল্পের অর্থ খরচের হিড়িক দেখা যায়। এতে প্রকল্পের গুণগত বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। এ পরিস্থিতি রোধে প্রতি প্রান্তিকে বরাদ্দের ২৫ শতাংশ অর্থ ব্যয়ের বাধ্যবাধকতা দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আরও বলেন, সাধারণত দেখা যায়, কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন যে সময়ে হতে পারতো, তার চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগে। এখন থেকে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে যতদিন সময় লাগবে, ঠিক ততদিনই দেওয়া হবে। কোনোভাবেই অতিরিক্ত সময় দেয়া হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মূল্যায়ন প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এ মূল্যায়নে যে সব প্রকল্প পরিচালক ভালো করবেন, তাদেরকে পরবর্তীতে বড় প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
       
বড় প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, যে সব প্রকল্প দেশব্যাপী বাস্তবায়ন হয়, যেমন প্রাথমিক শিক্ষার অনেক প্রকল্প এমন রয়েছে। এসব প্রকল্পে জাতীয়ভাবে একজন প্রকল্প পরিচালক থাকবেন। প্রকল্পের কাজে গতি আনতে প্রতি বিভাগে একজন করে প্রকল্প সমন্বয়ক নিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি এ ধরনের বড় প্রকল্পের দরপত্র কোনো একক প্রতিষ্ঠানকে না দিয়ে একাধিক প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে। যাতে প্রকল্পটি গুণগতভাবে সঠিক সময়ে শেষ হয়।
 
মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, বর্ষাকালে নদী ভাঙন রোধে কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না। কারণ বর্ষার সময় এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে গুণগত মান নিশ্চিত করা যায় না। এ ধরনের প্রকল্প আগস্টে অনুমোদন দেওয়া হবে এবং অক্টোবরে দরপত্র সম্পন্ন হবে। শুষ্ক মৌসুমে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
 
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা সচিব মোহাম্মদ সফিকুল আজমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৫
এমআইএস/এসএইচ/এনএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।