ঢাকা: শুধুমাত্র অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর নির্ভর করলে দেশের অতিদারিদ্র্য নিরসন সম্ভব নয় বলে মনে করে ১৪টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও)।
সোমবার (মে ২৫) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘অতিদারিদ্র্য অবসানে বাজেট বরাদ্দের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মতামত জানায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো।
আয়োজক সংগঠনগুলো হলো- কেয়ার বাংলাদেশ, কারিতাস বাংলাদেশ, কনসার্ন ওয়ালওয়াইড, দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গ্রীণ হিল, হেলেন কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, হেলভেটাস সুইস, মহিদেব যুব সমাজকল্যান সমিতি, নেটাজ বাংলাদেশ, অক্সফাম, সুশীলন, প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন বাংলাদেশ, সেভ দ্যা চিলড্রেন এবং উত্তরণ।
অতিদারিদ্র্য নিরসন সম্ভব না হলে ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে পরিণত করার সরকারি পরিকল্পণাটি হুমকির মুখে পরবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে মত প্রকাশ করে সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন- অক্সফাম’র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আফরোজ মহল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অতিদারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রয়োজনীয় হলেও, কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর নির্ভর করে অতিদারিদ্র্য নিরসন সম্ভব নয়।
এই অতিদারিদ্র্য সমস্যার সমাধান না করা গেলে বর্তমান সরকারের রূপকল্প-২০২১ হুমকির মুখে পরবে। এ জন্য অতিদারিদ্র্য নিরসনে সরকারের কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, এনজিও এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি যৌথ প্রচেষ্টায় কাজ করে তবে অতি দরিদ্র্যদের ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, জিডিপির অতিরিক্ত এক শতাংশ প্রতি অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটের অতিদারিদ্র্য নিরসনে বরাদ্দ থাকতে হবে। এটি কম পক্ষে আগামী ৫ বছরে একই অনুপাতে অব্যাহত রাখতে হবে।
কৃষি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার ইব্রাহীম খালেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. জুলফিকার আলী, কেয়ার বাংলাদেশের প্রজেক্ট ডিরেক্টও আনোয়ারুল হক প্রমুখ। এসময় আয়োজক সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদশে সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৫
এসকেএস/এসজেএ/বিএস