ঢাকা: বড় অংকের টাকা বহনকালে ছিনতাইকারীর কবলে পড়া থেকে এবার বাঁচা যাবে। ব্যাংক থেকে ব্যাংকে লেনদেন হবে অনলাইন পদ্ধতি রিয়েল টাইম গ্রসসেটেলমেন্টে (আরটিজিএস)।
সোমবার (২৫ মে) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিটিও ফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এ ‘মিট দ্য প্রেস’-এ সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিলো ফ্লোরা লিমিটেড।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সিটিও ফোরাম কর্মকর্তারা জানান, আরটিজিএস পদ্ধতিতে গ্রাহককে হাতে টাকা বহন করতে হবে না। ঘরে বসেই ব্যাংক থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারবেন। টাকা ছিনতাই বা চেকে স্বাক্ষর নকল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঝুঁকি থেকে বাঁচাবে এ পদ্ধতি।
এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, আরটিজিএস পদ্ধতি সেট করতে খরচ পড়েছে ২ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু এতে যে সুবিধা আসবে সে তুলনায় এ বিশাল ব্যয়ও যৌক্তিক।
বক্তারা বলেন, বড় অংকের ক্যাশ টাকা হাতে রাখার ঝুঁকি থেকে বাঁচাবে আরটিজিএস। এতে একটি ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে অনলাইনেই ব্যালেন্স ট্রান্সফার করা যাবে। অনেক সময় কাগজের টাকা বা চেক বইয়ের নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হয়। সেসব বিড়ম্বনা থেকে বাঁচাবে এ ইন্টারনেটকেন্দ্রীক ব্যাংকিং সিস্টেম।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ সভাপতি তপন কান্তি সরকার, মহাসচিব সৈয়দ মাসুদুল বারী, কোষাধ্যক্ষ ড. ইজাজুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এস এম রেজাউল করিম, পিএসডি উপ-পরিচালক খন্দকার আলী কামরান আল জাহিদ, সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট মো. রাহাত উদ্দিন, সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিমাদ্রি শেখর, সাউথ-ইস্ট ব্যাংকর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাইনুদ্দীন চৌধুরী, ফ্লোরা লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তফা শামসুল ইসলাম প্রমুখ।
আরটিজিএস সিস্টেমকে আরও পরিচিত ও ব্যাখ্যা করতে আগামী ৩০ মে হোটেল পূর্বাণীতে একটি সেমিনার আয়োজন করা হবে বলেও জানান তারা।
তপন কান্তি বলেন, আরটিজিএস অনলাইনে জটিলতামুক্ত তাৎক্ষণিক সেবা প্রদানে একটি কার্যকরী পদ্ধতি। এটি ব্যক্তি পর্যায়ে তাৎক্ষণিক লেনদেন ও ক্রেতার ডেবিট-ক্রেডিট হিসেবে নির্ভুলতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৫
এসকেএস/আরএম