ঢাকা: ভারতীয় জেরি কোটা-হ্যান্ডলুম আর পাকিস্তানি গুল আহমেদ ব্র্যান্ডের ফ্যাশন পোশাকে নারীদের চোখ আটকে যাচ্ছে। তবে তাদের বক্তব্য ব্র্যান্ড নয় ‘কোয়ালিটিই’ আগে।
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীতে শুরু হওয়া ‘চতুর্থ আন্তর্জাতিক ফ্যাশন কার্নিভ্যালে’ বসেছে এসব নামি ব্র্যান্ডের ফ্যাশনের পোশাক মেলা।
রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরের এমান্যুল’স ব্যানকুইট হলে চলছে এ কার্নিভ্যাল। পাঁচ দিনের (৩-৭ জুন) এ আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করেছে ফ্রি-ল্যান্সারস ও রেড কার্পেট-৩৬৫ লিমিটেড। শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল লক্ষ্য করার মতো।
মেলায় ২০টি বাংলাদেশি, ৬টি ভারতীয় ও ১৯টি পাকিস্তানিসহ মোট ৪৫টি ফ্যাশন কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। অংশ নিয়েছে ইন্ডিয়ান শাড়ি লাভার্স ফ্যাশন কোম্পানি। তারা মেলায় নিয়ে এসেছে জেরি কোটা, হ্যান্ডলুম, চেন্নাই স্কিল, চান্দেরি, কাঞ্চি পুরাম, কুর্তি, ডিজাইন বুটিক সেলোয়ারসহ বিভিন্ন পণ্য।
জেরি কোটা ও হ্যান্ডলুম কোয়ালিটি বাংলাদেশি নারী ক্রেতাদের বেশ আকর্ষণ যোগাচ্ছে। মেলায় এটি তাদের পছন্দের শীর্ষে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান শাড়ি লাভার্স’র মালিক সুনাইমা মান্দিপা।
সুনাইমা বলেন, কোয়ালিটিতে কোনো আপোস নেই। দামও সাধ্যের মধ্যে রয়েছে বলে নারীদের চোখ আটকে যাচ্ছে। তবে অন্য ব্র্যান্ডের ক্রেতাও কম নয়। মেলায় বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
মেলায় ভারতীয় এমিটেশন জুয়েলারি আর ডায়মন্ড পণ্য নিয়ে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছে দিল্লির এনরাইজ জুয়েলারি কোম্পানি। বাংলাদেশি নারীদের চাহিদা দেখে চোখ ‘ছানাবড়া’ কোম্পানির মালিক সখ্যতা খান্না ও তার স্ত্রী কেডি খান্নার। জিজ্ঞেস করতে স্বামী-স্ত্রীর সোজা কথা, ‘বাংলাদেশি নারীদের পছন্দ আছে’।
জনপ্রিয় পাকিস্তানি ‘লন’ ফ্যাশন পোশাক ব্র্যান্ড গুল আহমেদ যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, দুবাই, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নারীদের মন জয় করে বাংলাদেশি নারীদের মন জয় করতে এসেছেন মেলায়।
শতভাগ কটন আর আপোসহীন কোয়ালিটি নিয়ে বাংলাদেশের নারীদের মন জয় করতে প্রথমবার এটি দেশে আনা হয়েছে বলে জানান গুল আহমেদ’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি শামীম মাহমুদ।
শামীম মাহমুদ বলেন, গুল আহমেদ ব্র্যান্ডের কোয়ালিটি, বৈচিত্র্য আর শতভাগ কটন, এগুলোই জনপ্রিয়তার কারণ। বাংলাদেশি নারীরা বৈচিত্র্য পছন্দ করে, ফলে বিক্রি ও প্রদর্শনী দু’টাতেই বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
মেলায় ফ্যাশন-প্যাশন কোম্পানি’র স্টলে সাজিয়ে রাখা হয়েছে মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ভারতসহ বিশ্বের নামি সব ফ্যাশন ব্র্যান্ডের বাহারি পোশাক।
স্টলের মালিক সাউদা সুলতানা সমাপ্তি বাংলানিউজকে জানান, ভারতীয় পার্টি ডেস, ব্যাংকক ব্যাগ বুজসহ পাকিস্তানি নানা ব্র্যান্ডের চাহিদা খুব বেশি।
দেশিয় ফ্যাশন পোশাকের কথা বলতেই সমাপ্তির হতাশা। বলেন,‘কিনতে চায় না বলে রাখি না’।
আয়োজক রেড কার্পেট-৩৬৫ লিমিটেড’র সিইও আহমেদ ইমতিয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে একমাত্র ফ্যাশন পোশাকের এ মেলায় ফ্যাশন প্রেমীদের ভিড় বেশ বাড়ছে।
তিনি বলেন, মেলার মাধ্যমে ফ্যাশন প্রেমীরা বাংলাদেশসহ বিশ্বের নামি ব্র্যান্ডের অরজিনাল পোশাক কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। মেলায় বিক্রির পাশাপাশি পরিচিতি পাচ্ছে নামি এসব ব্র্যান্ড।
ইমতিয়াজ আরও বলেন, মেলায় নামিদামি ব্র্যান্ডের লন পাওয়া যাচ্ছে ২-৬ হাজার টাকার মধ্যে। রয়েছে এক হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড়ও। শুক্র ও শনিবার ছুটির দিনে বেশ সাড়া পাওয়া গেছে।
সাধ সাধ্য আর হাতের নাগালে আসল ফ্যাশন পোশাক পাওয়ায় মেলার শেষ দিন (০৭ জুন, রোববার) আরও বেশি সাড়া পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১২ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৫
আরইউ/আইএ
** ঢাকায় শুরু ৪র্থ বাংলাদেশ ফ্যাশন কার্নিভাল