ঢাকা, শনিবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আন্তর্জাতিক খেলা বুঝে কৃষিতে এগোতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৫
আন্তর্জাতিক খেলা বুঝে কৃষিতে এগোতে হবে ছবি : সোহাগ/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক খেলার মধ্যে পড়ে বিগত জোট আমলে আমাদের দেশে খেসারির চাষ একেবারেই কমে গেছে। সেই আন্তর্জাতিক মহলই এখন আমাদের উদ্ভাবিত বিটি বেগুন নিয়ে হই-চই করছে।

সেটা শুনে আমাদের কৃষি উৎপাদন বন্ধ করলে চলবে না। আন্তর্জাতিক খেলা বুঝে আমাদের কৃষিতে এগিয়ে যেতে হবে।

মঙ্গলবার (৯ জুন) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় রাজধানীর খামারবাড়ি বিএআরসি মিলনায়তনে অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

জয়দেবপুরের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, ল্যাথারিজম রোগের কথা বলে আমাদের দেশে খেসারির চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিটি বেগুন নিয়ে তারাই আবার হই-চই করছে। আমাদের দেশে যেদিন হাইব্রিড চাষ চালু করেছিলাম, সেদিনও বিটি বেগুনের মতো এমন হই-চই হয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক খেলায় আমরা থেমে থাকিনি। দিন দিন হাইব্রিড উৎপাদন বাড়িয়েছি।

তিনি আরও বলেন, বিটি বেগুন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছিল, এটা উৎপাদন করলে কৃষিপণ্য নিয়ে  তাদের মার্কেটে প্রবেশ করতে পারবো না। আমি বলেছি, আগে আমার দেশের মানুষ খাবে, পরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিটি বেগুন উৎপাদন চলবে। পরে দেখা গেছে, তাদের (ইইউ) নিজেদের প্রয়োজনেই তারা পার্লামেন্টে ভোটের মাধ্যমে মত পরিবর্তন করে মার্কেট উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল নিজেদের স্বার্থে সব করতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, ভুট্টা উৎপাদনের ক্ষেত্রে বর্তমানে বাংলাদেশ সফল। বর্তমানে গমের চেয়ে ২৩ লাখ টন বেশি ভুট্টা উৎপাদিত হচ্ছে। সেই ভুট্টা গমের সঙ্গে ব্লেন্ড করে সাদা আটা তৈরি করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১০৬টি ফসলের হাইব্রিডসহ ৪৫৩টি উচ্চ ফলনশীল, রোগ প্রতিরোধক্ষম ও প্রতিকূল পরিবেশ প্রতিরোধী জাত এবং উন্নত চাষাবাদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক নয়শ’টির অধিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দাবি করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ না হলে বিশ্বব্যাংককে বাদ দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরি করা সম্ভব হতো না। খাদ্য কিনতে হয় না বলেই আমরা সেটা পারছি।

জায়েন্ট মিলিবার্গকে নতুন বিপদ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে নতুন বিপদ হলো জায়েন্ট মিলিবার্গ। এটা আমাদের দেশীয় কোনো পোকা নয়। বিদেশ থেকে আগতদের মাধ্যমে এ ক্ষতিকর পোকা বাংলাদেশে এসেছে। ক্ষতিকারক এ পোকাসহ কৃষিপণ্যের জন্য বিপদজনক দিকগুলোর দ্রুত সমাধান করতে হবে। কৃষিজমির আকারের কথা মাথায় রেখে ছোট, স্মার্ট ও কার্যকরী  যন্ত্র আবিস্কার করতে হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন এমপি, সদস্য মো আব্দুল মান্নান এমপি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়াম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ, বিএআরআই’র মহাপরিচালক রফিকুল ইসলাম মন্ডল।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৫
আইএএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।