ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে,বেড়েছে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৫
খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে,বেড়েছে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে

ঢাকা: চলতি অর্থবছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে মাসওয়ারি সব ধরনের খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। কিন্তু বেড়েছে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে।



বুধবার (১০ জুন) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনে কক্ষে মিট দ্য প্রেসে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া মে মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

চলতি অর্থবছরের এপ্রিলে মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ। মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। একই সময় খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ০৮ শতাংশ। মে মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশে। তবে এ সময় সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমেছে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৯ শতাংশে। যা এপ্রিল মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, বাজেটে আমরা মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছি। মূল্যস্ফীতি তার মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়েছি। আশা করি আগামী মাসেও মূল্যস্ফীতির হার বাড়বে না। তবে ঈদে সামান্য প্রভাব পড়তে পারে। আগে রোজার সময় যে হাহাকার ছিল তা এবার থাকবে না বলেও জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী।

খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি কমা প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে তেল, ডাল ও চালের দাম প্রতিনিয়তই কমছে যে কারণে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার কম। ’

বিবিএস এর হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, মাছ,মাংস,ব্রয়লার মুরগি,শাক-সবজি, ফল, মসলা, দুধজাতীয় দ্রব্যাদি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর মূল্য এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে কমেছে। বিবিএস এর মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রসাধনী, জুতা,পরিধেয় বস্ত্র, বাড়ি ভাড়া, আসবাব পত্র, গৃহস্থালি,চিকিৎসা সেবা, পরিবহন,শিক্ষা উপকরণ এবং বিবিধ সেবা খাতের মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী  হয়েছে।

খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে দাম বাড়া প্রসঙ্গে পরিসংখ্যান ব্যুরোর সচিব কানিজ ফাতেমা বলেন, খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ভোক্তার চাহিদার ধরন আলাদা। এই ক্ষেত্রে সব সময় ভিন্নতা দেখা যায় সেই লক্ষ্যে নন ফুড পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। ক্রেতারা সাধারণত বিলাস সামগ্রী, জুতা ও নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন। চাহিদার ভিন্নতার কারণে এগুলোর দাম বেড়ে যায়। ’

বিবিএস এর দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, গ্রামীণ পর্যায়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। এপ্রিলে ছিল ৬ দশমিক ০৩ ভাগ মে মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৪ ভাগ। এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে স্বস্তি ফিরেছে মজুরি সূচকেও। এপ্রিল মাসে মাসওয়ারি জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ মজুরি হার সূচক ছিল ৯ দশমিক ৩৬ ভাগ। মে মাসে এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪৪ ভাগ। এতে করে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ স্বস্তি পেয়েছে। কতিপয় পণ্যের দাম বাড়লেও ক্রেতাদের কিনতে সমস্যা হবে না। কারণ মজুরি বাড়ায় ক্রয় ক্ষমতাও বাড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৫
এমআইএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।