ঢাকা: প্রথমবারের মতো দেশে আয়োজিত টেলিকম অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার হ্যাকাথনে (টিএডিহ্যাক) বাংলাদেশ পর্বের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) কম্প-এক্স টিম। পুরস্কার হিসবে তারা পেয়েছেন এক হাজার মার্কিন ডলার।
বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড এ প্রতিযোগিতার আয়োজক। রাজধানীতে রবি রিক্রিয়েশন সেন্টারে ১৩ থেকে ১৪ জুন হ্যাকাথনটির আয়োজন করা হয় বলে মঙ্গলবার (১৬ জুন) প্রতিষ্ঠানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বে চুয়েট ছাড়াও আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এইউএসটি), মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি), ক্রিয়েটিভ ডেভেলপারস লিমিটেড, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) ও ই-ল্যাবস বাংলাদেশ লিমিটেডের দলগুলো অংশ নেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টিএডিহ্যাক হচ্ছে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক টেলকো অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট হ্যাকাথন। বিশ্বজুড়ে একই সময়ে হ্যাকাথনটি অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ১২টি দেশের (পর্তুগাল, আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ, তুরস্ক, ইসরায়েল, শ্রীলঙ্কা, ভারত, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র) এক হাজার দুইশ’র বেশি প্রতিযোগী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
টিএডিহ্যাকের বাংলাদেশ পর্বে মোট ৩০ জন মেধাবী অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। বৈশ্বিক এ প্রতিযোগিতার জন্য যোগ্য অ্যাপ ডেভেলপারদের বাছাই করতে কঠোর প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে। প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্ব শেষে ছয়টি দলের তৈরি অ্যাপ্লিকেশনগুলো বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য পাঠানো হয়েছে। বৈশ্বিক চ্যাম্পিয়নের পুরস্কার মূল্য ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার।
হ্যাকাথনের নিয়ম অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারীরা টানা ২৪ ঘণ্টা তাদের নিজস্ব অ্যাপটি তৈরির জন্য কাজ করার সুযোগ পান এবং সেই প্রতিযোগিতার স্থান ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার অনুমতি পান না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিযোগীরা তাদের অ্যাপের ধারণা, অ্যাপটি ডেভেলপ করা ও বিশেষজ্ঞ বিচারকদের সামনে উপস্থাপন করেন।
বিচারকদের মধ্যে ছিলেন রবির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইভিপি) ও হেড অব ডিজিটাল সার্ভিসেস মোহাম্মদ মঞ্জুর রহমান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির হেড অব কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) ড. সৈয়দ আখতার হোসেন ও বাংলা ট্র্যাক মাইকি ভিএএস লিমিটেডের সিইও তারো আরায়া।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রবি ইতোমধ্যে তাদের মোবাইল অ্যাপস প্লাটফরম বিডিঅ্যাপস ডটকম উদ্বোধন করেছে। মোবাইল নেটওয়ার্কের অসীম সম্ভাবনা কাজে লাগানো এবং দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জীবনধারায় আমূল পরিবর্তন আনতে এই প্লাটফরমটি চালু করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে রবি তার দুই কোটি ৬০ লাখের বেশি গ্রাহকের কাছে বিভিন্ন উদ্ভাবনী মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন পৌঁছে দিতে চায়। বিডিঅ্যাপস ডটকম প্লাটফর্মটিতে রবি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট প্রতিযোগিতার প্রথম সারির অ্যাপগুলো গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। এরই অংশ হিসেবে দেশে প্রধমবারের মতো টিএডিহ্যাকের আয়োজন করেছে রবি।
অ্যাপস নির্মাতাদের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের আপন শক্তিতে জ্বলে ওঠার প্রত্যয়ে কাজ করে চলেছে রবি। রবি বিশ্বাস করে, শিগগিরই এদেশর মানুষের জন্য এদেশের ডেভেলপারদের তৈরি নিজস্ব উদ্ভাবনী অ্যাপের অন্যতম উৎসে পরিণত হবে বিডিঅ্যাপস।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৫
এমআইএইচ/এএ