ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইপিবি’র ব্যর্থ মিশনের সংখ্যা বাড়ছে

ঊর্মি মাহবুব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৫
ইপিবি’র ব্যর্থ মিশনের সংখ্যা বাড়ছে

ঢাকাঃ বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ মিশনের সংখ্যা প্রতি বছর বেড়েই চলেছে। ২০১০-১১ অর্থ বছরে ইপিবি’র লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ মিশনের সংখ্যা ছিলো ১৬টি যা বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছে ৩৩ টিতে।

৫ বছরে লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ মিশনের সংখ্যা ১৭টি বেড়েছে।

ইপিবি থেকে জানা যায়, ২০১০-১১ অর্থ বছরে ইপিবির দেশের বাইরে ৪৪টি মিশন কাজ করে। এর মধ্যে ১৬ টি লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে ২০১২-১৩ অর্থ বছরের জুলাই-এপ্রিল মাসে লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ মিশনের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৫ টি।

তবে ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের একই মাসে ব্যর্থ মিশনের সংখ্যা না বাড়লেও কমেও নি। এ সময়ে লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ মিশনের সংখ্যা অপরিবর্তিত ছিলো ২৫টিতে।

তবে এক বছরের ব্যবধানে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের জুলাই-এপ্রিল মাসে ব্যর্থ মিশনের সংখ্যা বাড়ে ৮টি। চলতি অর্থ বছরের ১১ মাসে লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ মিশনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩ টিতে। চলতি অর্থ বছরের একই সময়ে দেশের বাইরে মোট ৫৩টি মিশন কাজ করছে। এর মধ্যে মাত্র ২০টি মিশন তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের জুলাই -এপ্রিল মাসে ইপিবির ৫৩ টি মিশনের আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২৬ হাজার ৮৩৫ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে আয় হয়েছে ২৫ হাজার ৩০৩ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার। লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কম হয়েছে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।

তথ্যের অভাব, সঠিক কর্মীর সঠিক স্থানে নিয়োগ দান না করা, এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ মিশনের ক্ষেত্রে তেমন কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না থাকায়ই মূলত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ মিশনের সংখ্যা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দেশের বাইরে বাংলাদেশের মিশনের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ মিশনের সংখ্যাও। কোনো মিশন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হলেও তাকে তার জায়গায়ই রেখে দেয়া হয়। তেমন কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেই।

আবার যারা লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করছে তাদের ক্ষেত্রে কোনো প্রণোদনারও ব্যবস্থা নেই।

ফলে এই ধরনের ব্যর্থ মিশনের সংখ্যা বাড়ছে। কোনো মিশনে যাওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার উক্ত মিশন, সংশ্লিষ্ট দেশ, চাহিদা প্রভৃতি সম্পর্কে ধারণা থাকে না। ফলে তারা আশানুরূপ ফল অর্জন করতে পারে না। এসব বিষয়েও ইপিবিকে নজর দেয়া উচিত।

এসব বিষয়ে ইপিবির সহ সভাপতি সুভাশিষ বসু ও মহা-ব্যবস্থাপক-১ মারুফা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। ইপিবি থেকে জানানো হয় সুভাশিষ বসু ও মারুফা সুলতানা দাফতরিক কাজে দেশের বাইরে আছেন।

মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় ইপিবি’র সচিব ড. এএফএম মঞ্জুর কাদিরের সাথে। তবে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ।

ড. এএফএম মঞ্জুর কাদির বলেন, আমি ট্রেনিং এ আছি। তাছাড়া লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ মিশনের সংখ্যার তথ্য আমার কাছে নেই। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারবো না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৫
ইউএম/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।