ঢাকা: বিদেশ থেকে রং করা যন্ত্রাংশ দেশে এনে মোটরসাইকেল তৈরি করে বাজারজাত করছে উৎপাদনকারীরা। এভাবে তৈরি হচ্ছে বছরে তিনলাখ গাড়ি।
কিন্তু নতুন করে দেশেই এসব যন্ত্রাংশ রং করতে হলে আরও বিনিয়োগের প্রয়োজন। বিগত ১৮ বছর এই সুবিধা পেলেও চলতি অর্থবছরের বাজেটে রংসহ যন্ত্রাংশ আমদানিতে ছাড় প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নতুন করে পেইন্টিং কারখানা স্থাপন করতে হলে বিপুলপরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
নতুন এই বিনিয়োগ না করতে বুধবার (১৭ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছে মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্সন অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি হাফিজুর রহমান খান।
আবেদনে বলা হয়েছে, দেশে যেসব পেইন্টিং কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। তাতে ৫ লাখের বেশি মোটরসাইকেল রং করা যাবে। এক্ষত্রে সরকারের পক্ষ থেকে
সুনির্দিষ্ট নীতিমালা পেলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের পাশাপাশি সিকেডি মোটরসাইকেল আমদানিকারকরাও পেইন্টিং সুবিধা পাবে। যাতে সংশ্লিষ্টদের পেইন্টিং কারখানা স্থাপনের মত বিনিয়োগ এখন প্রয়োজন হবে না।
কিন্তু বর্তমান পেইন্টিং কারখানাগুলো সর্বোচ্চ উৎপাদনশীলতা অর্জনের মাধ্যমে উৎপাদন ব্যয় আরও কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে। এতে একদিকে যেমন আমদারি নির্ভরশীলতা হ্রাস পাবে। তেমনি কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও কারিগরি উৎকর্ষতা লাভ করে দেশীয় শিল্প অর্থনীতে বিশেষ অবদান রাখতে পারবে।
এজন্য বিনিয়োগ করতে হবে বিপুলপরিমাণ অর্থ। যা এই বাজার ব্যবস্থায় মোটরসাইকেল উৎপাদনকারীদের জন্য ব্যবসার বাঁধা হতে পারে।
তাই ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে রংসহ মোটরসোইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানিতে ছাড় দেওয়া আরও কিছুদিন বহাল রাখা প্রয়োজন। এতে চলমান আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠে দেশের মোটরসাইকেলের যন্ত্রাশ রং করার কারখানাগুলো চালু করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৪ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৫
এসই/এসআর