রাজশাহী: ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে নেওয়া দুই নীতি (সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি ও রংবিহীন যন্ত্রাংশ আমদানি) মোটরসাইকেল শিল্পে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। এতে রাজস্ব আদায় কমে যাওয়াসহ শিল্পের সঙ্গে সংযুক্ত যুবকরা বেকার হয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দুপুরে রাজশাহী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বের নামকরা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল ডিলাররা এ আশঙ্কার কথা জানান। পাশাপাশি তারা এ নীতি বাতিলের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ মোটরসাইকেল ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক সরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, মোটরসাইকেল বিক্রয়কারী ডিলাররা বর্তমানে বাংলাদেশে বিশ্বের নামকরা প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড হোন্ডা, ইয়ামাহা, বাজাজ, হিরো, টিভিএস, সুজুকি’র মোটরসাইকেল দিয়ে বাজারের ৯০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে আসছে। কিন্তু ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট নীতিতে দু’টি পরিবর্তনের প্রস্তাব আনা হয়েছে।
প্রস্তাবগুলো হলো- সব মোটরসাইকেল যন্ত্রাংশ রংবিহীন অবস্থায় আমদানি ও আগের সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা। যা বাস্তবায়ন হলে রাজস্ব আদায় কমার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এতে প্রতিটি মোটরসাইকেলের মূল্য ১৫ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাবে। যাতে ডিলাররা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ২০১৪-১৫ অর্থবছরেও প্রায় এক হাজার ৫০০ কোটি টাকার ভ্যাটসহ সরকারকে রাজস্ব প্রদান করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন সরিফুল ইসলাম বাবু।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোটরসাইকেল ডিলার অ্যাসোসিয়েশন নেতা শাহরিয়ার আরিফ ওপেল বলেন, সংযোজন শিল্পের জন্য আলাদা আলাদা পেইন্টসপ স্থাপন করা, মোটরসাইকেল শিল্পের জন্য সহায়ক হবে না। কেননা এসব শিল্প স্থাপনে অনেক বছর চলে যাবে।
দেশীয় যে ক’টি প্রতিষ্ঠান মোটরসাইকেল তৈরিতে ভূমিকা রাখছেন তারাও বিদেশ থেকে যন্ত্রাংশ আমদানি করছেন। এ অবস্থায় রংবিহীন যন্ত্রাংশ আমদানি ও আগের সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করার নীতি এ শিল্পে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এই দু’টি নীতি বাতিলের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর মোটরসাইকেল ডিলার আবু হোসেন সিদ্দিকী কোয়েল, এজাজ-উদ দৌলা, আলতাফ হোসেন ও মোকাদ্দেস হোসেন লাবলু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৫
এসএস/জেডএস