খুলনা: চুলার ওপর কড়াইয়ে টগবগ করছে তেল। ডুবু-ডুবু তেলে ভাজা হচ্ছে বেগুনি, পেঁয়াজু, চপ, ডিম-চপ, জিলাপিসহ নানা পদ।
বাতাসে ভাসছে নানা স্বাদের মুখরোচক খাবারের মনকাড়া সুবাস। ক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে চলছে দোকানিদের হাঁক-ডাকও। যেন ইফতারের বাজার নয় উৎসব! সেই উৎসবের মিলন মেলায় কিনছেন রোজাদাররা।
নগরীর ফুটপাত ছাড়াও অভিজাত হোটেল র্যয়েল, ক্যাসল সালাস, বনফুল, কান্ট্রি লাউঞ্জে ইফতার সামগ্রী নিয়ে বসেছে মেলা। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে- শরবত, খেজুর, ছোলা, মুড়ি, শাহী জিলাপি, ডিমের চপ, চিকেন অনিয়ন, থাই চিকেন ফ্রাই, স্পেশাল চিকেন কাবাব, চিকেন শর্মা, মরিচা, ফিন্নি, মৌসুমি ফল, পাটিসাপটা পিঠা, রকমারি হালিম, চিকেন তন্দুরি, চিকেন রেশমি কাবাব, সুতি কাবাব, পুডিং ইত্যাদি।
নগরীর শান্তিধামের মোড়, ডাকবাংলো মোড়, ফেরিঘাট মোড়, সাত রাস্তার মোড়, ময়লাপোতা মোড়, শিববাড়ি, নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে গায়ের সঙ্গে গা লেগে যাওয়া কিংবা ধাক্কাধাক্কির মাঝেই চলছে ইফতারি কেনার হিড়িক।
সাত রাস্তার মোড়ে আবু মুসা নামের এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছরই রোজায় ইফতার কিনতে এখানে আসি। কারণ রমজানে একসঙ্গে এতো বৈচিত্র্যময় খাবার আর কোথাও মেলে না। তাই প্রতিবছরই রোজার মাসে এখানে হরেক রকম খাবারের স্বাদ নিতে ছুটে আসি। আর পরিবারের সদস্যরাও দারুণ তৃপ্ত হয় এমন মুখরোচক খাদ্য পেয়ে।
হোটেল ক্যাসল সালামের ইফতার মেলার বিক্রেতা শামীম বাংলানিউজকে বলেন, পিঁয়াজু থেকে দইবড়া, হালিম থেকে ফিরনি, বিভিন্ন মাংসের রোস্ট, কাবাবসহ নানা বাহারি নামের ও স্বাদের খাবার দিয়ে সাজানো হয়েছে আমাদের ইফেতার মেলা।
তিনি জানান, ইফতার মেলায় এবার তাদের ২৩টি আইটেম রয়েছে। ইফতার রেডি প্লেট-১ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। আইটেম ১১টি। ইফতার রেডি প্লেট-২ বিক্রি হচ্ছে ৩৯০ টাকায়। যার আইটেম ১৪টি।
সাতরাস্তার মোড়ের শামীম হোটেলের মালিক মো. শামীম বাংলানিউজকে বলেন, রোজাদারদের রসনা মেটাতে আমাদের আয়োজনের কমতি নেই। তিনি জানান, বেচাকেনা ভালো হচ্ছে।
বনফুলের বিক্রয় কর্মকর্তা মনির বাংলানিউজকে জানান, তাদের ইফতার আইটেম ৩৯টি। রমজানে বিশুদ্ধ খাবার কিনতে অভিজাত ক্রেতারা এখানে আসছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৫
এমআরএম/আইএ