ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কৃষকদের অধিকার আদায়ে কৃষি আদালত গঠনের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৫
কৃষকদের অধিকার আদায়ে কৃষি আদালত গঠনের দাবি ছবি: কাশেম হারুন- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কৃষি সংক্রান্ত অপরাধ এবং সহজ নিষ্পত্তিযোগ্য ভূমি বিরোধের  দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আদালতের আদলে একটি ‘কৃষি আদালত’ গঠনের জন্য দাবি জানিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনসিডিন বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৩ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি  এ দাবি জানানো হয়।



‘ভূমিহীনের খাসজমি প্রাপ্যতা ও টেকসই কৃষিতে প্রান্তিক কৃষকের অধিকার’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনটির সহযোগিতায় ছিলো মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।

ইনসিডিন বাংলাদেশ একটি গবেষণাভিত্তিক সমাজ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৫ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত গণকৃষি কমিশনের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি গণশুনানির মাধ্যমে প্রায় ২৫ হাজার কৃষকের মতামত সংগ্রহ করে। এ গণকৃষি কমিশনের সঙ্গে মূল ধারার ও তৃণমূল পর্যায়ের ১৮টি কৃষক সংগঠন উপস্থিত ছিলো। কৃষি ও কৃষকের  বিশেষত প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় ও টেকসই কৃষির স্বপক্ষে একটি নীতি  প্রস্তাবনাও এ প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী।

কৃষি আদালত গঠনের প্রয়োজনীয়তা  তুলে ধরেন মাসুদ আলী। তিনি বলেন, দেশের কৃষি উৎপাদনকে সঠিক ধারায় পরিচালনার মাধ্যমে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে কৃষি উপকরণে ভেজাল প্রতিরোধ, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ওপরে ঘটে যাওয়া নানাবিধ অন্যায় যেমন কোল্ড স্টোরেজের প্রতারণামূলক আচরণ রোধ, চুক্তিভিত্তিক চাষের ক্ষেত্রে প্রতারণার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষকদের আইনগত আশ্রয় এবং  কৃষি সংক্রান্ত অপরাধ  এবং সহজ নিষ্পত্তিযোগ্য ভূমি বিরোধের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কৃষি আদালত গঠন করা প্রয়োজন।   এ আদালত কৃষি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির পাশাপাশি  কৃষি ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক  কৃষকের অধিকারগুলোর আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধান ভূমিকা পালন করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইনসিডিন বাংলাদেশ ও গণকৃষি কমিশনের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ভূমিহীন ও প্রান্তিক মানুষের স্বার্থ সুরক্ষার উপযোগী খাসজমি প্রাপ্যতা, বাংলাদেশের খাদ্য ও কৃষক নিরাপত্তায় কৃষি ও শস্যবীমা প্রচলন, উন্নয়ন নীতির প্রেক্ষাপটে কৃষি খাসজমিসহ সব কৃষি জমি সুরক্ষার সুস্পষ্ট নাগরিক প্রস্তাবনা, কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য কম ভাড়ায় ‘কৃষি রেল’ ব্যবস্থা চালু করা, কৃষি আইন সংস্কার এবং কৃষি আদালত প্রর্বতন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৫
এলকে/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।