ঢাকা: বাংলাদেশে টেকনিক্যালি সৌরবিদ্যুৎ সম্ভব। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে সম্ভব নয় বলে অভিমত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার (২৪ জুন) রাজধানীর স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে ‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ অভিমত দেন। কোরিয়া গ্রিন ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) ও বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস্) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে সরকারি কর্মকর্তা, ইউএন মিশন, এনজিও ব্যক্তিত্ব ও ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।
বিশ্বব্যাংকের পরিবেশ বিষয়ক পরামর্শক ড. ইশতিয়াক সোবহান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যয় অনেক বেশি। প্রতি ইউনিটে খরচ পড়ে ১৬ টাকার মতো। কিন্তু গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পেতে ইউনিট প্রতি মূল্য পরিশোধ করতে হয় ৪ টাকা থেকে ১১ টাকা।
যে কারণে মানুষ এতে আগ্রহী হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাইফুল আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে অনেক জ্বালানি সংকট রয়েছে। প্রাথমিক জ্বালানির সংকট অনেক বেশি। সরকার এখন জ্বালানির বহুমুখি সোর্স ব্যবহার করতে চাইছে। তারই অংশ হিসেবে কয়লা ও পরমাণু বিদ্যুতের দিকে যাচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক রুহুল কুদ্দুস বলেন, সৌরবিদ্যুতের যন্ত্রপাতির দাম চড়া। এর দাম কমাতে না পারলে লক্ষ্যে পৌঁছা কঠিন হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, সাড়ে ৩৭ শতাংশ হারে ট্যাক্স দিয়ে সৌরবিদ্যুতের যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হচ্ছে। ট্যাক্স মওকুফ করা গেলে দাম কমে আসবে। আর তখন জনগণ এতে আগ্রহী হবে। সরকার অনেক কথা বললেও এসব যন্ত্রপাতির দাম কমাচ্ছে না।
সৌরবিদ্যুৎ ও বায়োগ্যাসের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আলোচনায় অংশ নেন কেজিএফ’র সভাপতি উল চই, বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম, এমপি বেডস্ এর নির্বাহী পরিচালক মাকছুদুর রহমান, পরিচালক (প্রোগ্রাম) মুশফিক আহমদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৫
এসআই/এএসআর