ঢাকা: অবশেষে বেসরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে সম্মত হয়েছে মালয়েশিয়া। বছরে পাঁচ লাখ শ্রমিক নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে জিটুজি চুক্তি করলেও মাত্র সাড়ে সাত হাজার শ্রমিক নেয় দেশটি।
এবার শ্রমিক নেওয়ার সে জটিলতা কমাতে আবারও বেসরকারিভাবে শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এর আওতায় প্রায় পাঁচ লাখ শ্রমিক নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছে মালয়েশিয়া।
বুধবার (২৪ জুন) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে সফররত প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জাহিদ হামিদি এ কথা জানান।
এর আগে সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য নাম নিবন্ধন করায় ১৪ লাখেরও বেশি মানুষ। সে তালিকা থেকেই বেসরকারিভাবে শ্রমিক নেবে মালয়েশিয়া।
বৈধ শ্রমিকদের স্বাগত জানিয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, কর্মসংস্থানের জন্য আবেদন অনলাইনে নেওয়া হবে, যার মনিটরিংয়ের দায়িত্ব থাকবে সরকারি সংস্থা।
প্রত্যেক শ্রমিককে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানান জাহিদ হামিদি।
এ বিষয়ে কার্যপ্রণালী ঠিক করতে খুব শিগগির উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির অন্যতম বাজার মালয়েশিয়া। তবে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয় দেশটি। দীর্ঘ কূটনৈতিক যোগাযোগের পর ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর দুই দেশের মধ্যে সরকারিভাবে কর্মী নেওয়ার চুক্তি হয়।
এরপর মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের ১৪ লাখ ৫০ হাজার লোক নিবন্ধন করেন। কিন্তু গত তিন বছরে মাত্র সাড়ে সাত হাজার কর্মী নিয়েছে দেশটি।
অথচ এরই মধ্যে ছাত্র ও পর্যটক সেজে দেশটিতে গেছে অন্তত এক লাখ লোক। আর বঙ্গোপসাগর দিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ।
সম্প্রতি থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় গণকবর আবিষ্কার এবং এ নিয়ে হৈ-চৈ শুরুর পর আবার বেসরকারিভাবে কর্মী নেওয়ার প্রস্তাব দেয় মালয়েশিয়া।
সে বিষয়ে আলোচনা করতে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার মালয়েশিয়া যান। প্রতিনিধি দলটি বর্তমানে মালয়েমিয়া অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৫
জেপি/এমএ