ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঈদ কেনাকাটা

পছন্দের শীর্ষে ক্রেতাবান্ধব বসুন্ধরা সিটি

সাখাওয়াত আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৫
পছন্দের শীর্ষে ক্রেতাবান্ধব বসুন্ধরা সিটি ছবি: শাকিল / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বসুন্ধরা সিটি ঘুরে:  বাংলাদেশে তো বটেই, দক্ষিণ এশিয়ারও অন্যতম সেরা শপিং মল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স। সারা বছর তো ভিড় আছেই উৎসব-পার্বনে যেন এই মাত্রা আরও বেড়ে যায়।



আর ঈদ হলে কথাই নেই। রমজানের প্রথম সপ্তাহ থেকেই পুরোদমে জমে উঠে ঈদের কেনাকাটা। নানা সুবিধা আর সব জিনিস একসঙ্গে পাওয়ার জন্য এবারও দেশের বিভিন্ন শ্রেণির ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে বসুন্ধরা শপিং মলই।

বিক্রেতারাও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাকে সাজিয়েছেন তাদের ঈদ মার্কেট।   তাই রমজানের প্রথম ছুটির দিনে ক্রেতাদের উপেচে পড়া ভিড় চোখে পড়েছে।

শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, সিটির প্রবেশ পথে ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি। বিশৃঙ্খলা এড়াতে নিজেরাই সারিবদ্ধভাবে মার্কেটে প্রবেশ করছেন ক্রেতারা।

যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় তৎপর রয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরাও।

মার্কেটের বিভিন্ন লেভেল ঘুরে দেখা গেল নিত্য নতুন পোশাক, জুতা, জুয়েলারি, প্রসাধনীসহ সব ধরনের দোকানেই ক্রেতাদের ভিড়। বিভিন্ন দোকানে ঘুরে ঘুরে প্রয়োজনীয় ও পছন্দের জিনিস কিনছেন তারা।

ইনফিনিটি, একসটাসি, ওয়েসটেকসহ কয়েকটি মেগামল এবং দোকানের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রমজান শুরু পর কিছু বিক্রি বাড়লেও প্রথম ছুটির দিনে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশ ভালো। বিক্রিও হচ্ছে আশানুরূপ।

‘তবে যারা মার্কেটে আসছেন তাদের মধ্যে সবাই এখনই কেনাকাটা করছেন না। অনেকেই ঘুরে ঘুরে পছন্দের জিনিস খোঁজার পাশাপাশি দরদাম সমন্ধে ধারণা নিচ্ছেন। তবে ঈদ যত এগিয়ে আসবে বিক্রির পরিমাণ ততো বাড়বে,’ জানালেন বিক্রেতারা।

তারা জানান, এই ঈদে ক্রেতাদের মূল আকর্ষণ থাকে পোশাকের প্রতি। মনের মতো পোশাক কেনার পরই তারা বাজেট অনুযায়ী অন্য জিনিসপত্র কেনেন। তাদের আগ্রহ আর চাহিদা অনুযায়ী আকর্ষণীয় রঙ এবং নান্দনিক ডিজাইনের বাহারি পোশাক আনা হয়েছে।

এর মধ্যে মেয়েদের পছন্দের তালিকায় শাড়ি, সিঙ্গেল কামিজ, জিন্স, টপস, লেহেঙ্গা রয়েছে। ছেলেদের রয়েছে শার্ট, প্যান্ট,পাঞ্জাবি, টি-শার্ট,পোলো শার্ট। আর রং-বেরঙের বাচ্চাদের পোশাক তো আছেই।

কেমন দাম
বাজেট অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের পোশাক রয়েছে বসুন্ধরা সিটির বিভিন্ন দোকানে। নামী-দামি ব্র্যান্ডের পাশাপাশি বিদেশি কাপড় বিক্রি হয় নির্ধারিত মূল্যেই। তবে ঈদ উপলক্ষে ছাড় রয়েছে কিছু কিছু দোকানে!

বিক্রেতারা জানান, এবার ঈদে মেয়েদের পোশাকের মধ্যে সুতি শাড়ির দাম ৯৯০ টাক থেকে ২২৫০টাকা এবং জর্জেট শাড়ি পাওয়া যাবে ১৭৫০ টাকা থেকে ৮৫৫০ টাকার মধ্যে।

সিঙ্গেল কামিজ পাওয়া যাবে ১০৯০টাকা থেকে ২৯৫০ টাকার মধ্যে এবং টপস কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ৯৯০টাকা থেকে ৩৫৫০টাকা।

আর ৫৫০ থেকে ৩৫০০ টাকায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাশাপাশি অন্যান্য জুতোও মিলবে।  

মান ও ডিজাইন ভেদে ছেলেদের শর্ট পাঞ্জাবি পাওয়া যাবে ১৬৫০ টাকা থেকে ২২৫০ টাকার মধ্যে, রেগুলার পাঞ্জাবি ২২৫০ টাকা থেকে ২৫ হাজার ৫৫০ টাকার মধ্যে। ছেলেদের হাফ হাতা শার্ট পাওয়া যাবে ৯৯০ টাকা থেকে ২৪৫০ টাকায় এবং ফুলহাতা শার্ট ১১৯০ টাকা থেকে ৪৮৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।

এছাড়া জিন্স প্যান্ট কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ২২৫০ টাকা থেকে ৩৫৫০ টাকা। এছাড়া চামড়ার জুতো পাওয়া যাবে ২২৫০ থেকে ৬৫৫০ টাকার মধ্যে এবং স্যান্ডেলে পড়বে ১৪৫০ টাকা থেকে ৪২৫০ টাকা।

বাচ্চাদের পোশাক ৭৫০ টাকা থেকে ২২৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।

আগ্রহ বসুন্ধরা সিটিতে কেন!

ঈদের এখনও তিন সপ্তাহ বাকি। এরই মধ্যে জমে উঠেছে বসুন্ধরা সিটি।

রাজধানীর ধানমণ্ডি থেকে আসা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নুসরাত জাহান বাংলানিউজকে বলেন, এককথায় বলতে গেলে এটি দেশ সেরা শপিং মল তাই।

‘তাছাড়া এখানকার পণ্যের মানও খুব ভালো। দামও অনেকটা সাধ্যের মধ্যে। মার্কেটের পুরো পরিবেশটা এক কথায় অসাম (চমৎকার),’ যোগ করেন তিনি।

ইনফিনিটি মেগা মলের ম্যানেজার মো. ওবায়দুল আনোয়ার খান বাংলানিউজকে বলেন, বসুন্ধরা সিটি কর্তৃপক্ষ পুরো মার্কেটে ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

‘ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে তারা র‌্যাফেল ড্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন। রয়েছে তথ্যকেন্দ্র, কার পার্কিংসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ জন্য ক্রেতারা আসছেন, আমাদের বিক্রিও ভালো হচ্ছে। ’

২০০ টাকার পণ্য কিনলে ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি!

কেনাকাটার পাশাপাশি ক্রেতাদের জন্য র‌্যাফেল ড্রয়ের ব্যবস্থা করেছে বসুন্ধরা সিটি কর্তৃপক্ষ। ড্রতে বিজয়ী ক্রেতাদের জন্য থাকছে ১১টি মেগা পুরস্কারসহ মোট ১০৯ টি পুরস্কার।

সর্বনিম্ন ২০০ টাকার পণ্য কিনলেই যে কোনো ভাগ্যবান ক্রেতা পেতে পারেন এসবের যে কোনো একটি।

প্রথম ভাগ্যবান ক্রেতা পাবেন টয়োটা ১৫০০ সিসির একটি ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি। দ্বিতীয় ভাগ্যবান একটি ডায়মন্ড সেট এবং তৃতীয় ভাগ্যবান পাবেন ৮১২ সিসির কিউকিউ ৩ চেরি ব্রান্ডের গাড়ি।

চতুর্থ পুরস্কার ৫ ভরি সোনার গহনা, পঞ্চম পুরস্কার ২ কাপলের জন্য একটি ট্যুর প্যাকেজ, ষষ্ঠ পুরস্কার ৩ ভরি সোনার গহনা, সপ্তম পুরস্কার ১১০সিসির স্কুটার, অষ্টম পুরস্কার ১১০ সিসির মাহিন্দ্র ব্যান্ডের মোটর সাইকেল, নবম পুরস্কার ৪৭ ইঞ্চি থ্রিডি এলই‌ডি টেলিভিশন, দশম পুরস্কার ১২৫ সিসির ফিউশন মোটর সাইকেল এবং ১১তম পুরস্কার ‍হিসেবে থাকছে ১০০ সিসির টিভিএস ব্র্যান্ডের মোটর সাইকেল।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৫
এসএ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Veet