ঢাকা: নগরীর পোস্তগোলায় প্রায় ২০ বছর পর নতুন আঙ্গিকে চালু হতে যাচ্ছে ময়দা ও সুজি মিল। বৃহৎ পরিসরে গম থেকে ময়দা উৎপাদনের মিল প্রতিষ্ঠা এটিই প্রথম।
নতুন মিল থেকে প্রতিদিন ২০০ মেট্রিক টন গম থেকে ময়দা তৈরি করা যাবে। একই সঙ্গে মজুত গম সুরক্ষায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার একটি অত্যাধুনিক স্টিল সাইলো নির্মাণ করা হয়েছে।
খাদ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, মিল ভবনের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। চলতি বছরেই নতুনভাবে চালু হচ্ছে এ ময়দার মিল। জার্মানি থেকে আমদানি করা যন্ত্রপাতির সংযোজন করা হয়েছে। আনুষঙ্গিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে ব্রান গোডাউন, ফিনিশড প্রোডাক্ট গোডাউন, গ্যানি ব্যাগ গোডাউন, চারতলাবিশিষ্ট ডরমেটরি বিল্ডিং, মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ ও অফিস বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ করা হয়েছে।
ঢাকা জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, পোস্তগোলায় আগেও ময়দা ও সুজি তৈরির মিল ছিল। কিন্তু এটি বন্ধ ছিল প্রায় ২০ বছর। নতুনভাবে তৈরি আধুনিক প্রযুক্তির মিলটি চলতি বছরের জুলাই মাসে চালু করতে পারবো।
মিলের কাঁচামাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিলের প্রধান কাঁচামাল বা উপকরণ হিসেবে গম ব্যবহার করা হবে। গম থেকে প্রতিদিন ২০০ মেট্রিক টন ময়দা তৈরি করা যাবে। এছাড়া উন্নত মানের সুজিও তৈরি করা হবে।
অত্যাধুনিক এ মিল তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ১৩৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
মিল সংলগ্ন সাইলো অ্যাসেম্বলিংয়ের ভেতরের যন্ত্রাংশের কাজ প্রায় শতভাগ শেষ হয়েছে। তবে ওয়ার্কশপ ভবনের যন্ত্রাংশ সংযোজন প্রায় ৫০ শতাংশ বাকি। মিলের সামগ্রিক বাস্তব অগ্রগতি ৯৩ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮৬ দশমিক ২৩ শতাংশ।
প্রকল্পটি মূলত পোস্তগোলায় খাদ্য অধিদফতরের চার দশমিক ২৯ একর জমিতে পুরনো মিল ভবন চত্বরে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
পুরনো ভবনের নিরাপত্তা প্রাচীরের অবস্থা নাজুক। এটি মেরামত করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মিল ভবনের আশপাশের এলাকা শ্রমিক অধ্যূষিত ও ঘনবসতিপূর্ণ। তাই কারখানার উৎপাদন শুরু হলে প্রাচীর নতুনভাবে নির্মাণ করা হবে। এতে ব্যয় করা হবে প্রায় ১ কোটি ২১ লাখ টাকা। মিল চালু করার পরে ক্রমান্বয়ে প্রাচীর নির্মাণ করা হবে।
এছাড়া পানি ধারক, পাম্প ইঞ্জিন, ট্রাক পার্কিং, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ওয়ার্কশপ, গোডাউন, সাব-স্টেশন, গার্ড রুম, টয়লেট, স্টাফ ডরমেটরি, স্যানিটারি ও সাইলো খাতে ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ৯ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৫
এমআইএস/এএ