ঢাকা: মধ্যম আয়ের দেশ হলেও নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আরো চার বছর এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) রাষ্ট্রের সুযোগ সুবিধা পাবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে (২ জুলাই) সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
২০২১ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্য থাকলেও বাংলাদেশ ২০১৫ সালের মধ্যেই এলডিসি থেকে বের হওয়ার সামর্থ্য অর্জন করেছে।
বুধবার (১জুলাই) মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এই মূল্যায়নের পর বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।
এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ভুটানের অর্থমন্ত্রী নামগে দর্জি।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমার তো খুব খুশি লাগছে- আমরা তাদের (বিশ্বব্যাংক) কাছে বলিনি, তোমরা এটা রিকন্সিডার করো। তারা করে ফেলেছে ইতোমধ্যেই। তবে এর একটা প্রসেস আছে। ইউএন সেটা শুরু করবে কিছুদিন পর। তাতে তিন বছর লাগবে। কিন্তু বিশ্বব্যাংক থেকে দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। আফটার অল টাকা-পয়সার সোর্স তো ওইদিকে। ইউএন তো টাকা দেয় না। তবে আমাদের এটা একটা সেটিসফিকশন। ’
মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে কবে নাগাদ জাতিসংঘের স্বীকৃতি মিলবে? এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এখন ইউএন বডি বসবে, আমার ধারণা আরো তিন চার বছর লাগবে ইউএন স্বীকৃতি পেতে। ’
অর্থমন্ত্রী জানান, ‘মধ্যম আয়ের দুইটা লেভেল আছে। হাইয়ার মিডিল ইনকাম এবং লোয়ার মিডিল ইনকাম। আমাদের লক্ষ্য ছিল আমরা লোয়ার মিডিল ইনকাম দেশে পরিণত হবো। এখন হয়ে গেল। ’
এতে বাংলাদেশ এলডিসি সুবিধা বঞ্চিত হবে কি না? জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই সুবিধা বন্ধ হতে আরো তিন চার বছর লাগবে। ইউএন কমিটি এটার ফাইনাল ডিসিশন দেয়। সিডিপির ডিসিশন ২০১৮,২০১৯ সালের আগে আসবে না। ’
অর্থমন্ত্রী বলেন,‘আমরা নিম্ন আয়ে ছিলাম ৪০ বছর। তার থেকে একটা প্রমোশন হল। আমার মনে হয় এতে আত্মগরিমা বাড়ে। নিজের স্ট্যান্ডার্ড বাড়ে। এবং তার প্রমাণ আমরা নিজেরা দিচ্ছি। অনেক কিছু আমরা নিজেরা করছি। এখানে অন্যদের সাহায্যের প্রয়োজন হয় না। এখন তো বৈদেশিক সাহায্য মাত্র ১ দশমিক ৮ শতাংশ। আমি আগে যখন মন্ত্রী ছিলাম তখন ছিল ৮ শতাংশ। আমাদের সোস্যাল যে ইন্ডিকেটর, তা খুব ভাল। এই সাব কন্টিনেন্টের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আমরা অনেক ভাল। ’
ভুটানের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভুটান থেকে আরো বিদ্যুৎ আনার বিষয়ে তার সঙ্গে কথা হয়েছে। ভুটানের রাজা আমাকে আগেই বলেছেন, তোমরা যদি চাও আমরা আরো এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি রাখবো। আমার তো মনে হয় আমরা এখন ট্রান্সমিশন লাইন করবো। নেপাল ভারত ও বাংলাদেশে (ভায়া ভুটান) সেই ট্রান্সমিশন লাইন হবে। ’
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, তাদের দেশ থেকে আমরা ২০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করি। আর ২/৩ মিলিয়নের মতো রপ্তানি করি। ওদের দেশে জনসংখ্যা কম হওয়ায় তাদের বাজার ছোট। তাই বণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৫
এসএমএ/আরআই