ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী আ.হ.ম. মোস্তফা কামাল,এমপি বলেছেন, ইসলামী ব্যাংকগুলো দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য, রেমিট্যান্স, ফরেন কারেন্সি রিজার্ভসহ সার্বিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বাংলাদেশে অল্প সময়ে শুরু হওয়া এ ব্যাংক ব্যবস্থার দ্রুত অগ্রগতি লাভ করেছে।
শনিবার(৪ জুলাই’২০১৫) রাজধানীর একটি হোটেলে “মাকাসিদে শরীয়ার আলোকে ব্যাংকিং ও আমাদের করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইসলামী ব্যাংকিং একটি স্বতঃসিদ্ধ পদ্ধতি যা সকল মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে এবং এ ব্যবস্থা কারো উপর জুলুম করে না। সম্পদভিত্তিক লেনদেন করে বিধায় বিশ্বমন্দায়ও এ ব্যাংক ব্যবস্থা টিকে ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি এ ব্যবস্থাকে আরো জনপ্রিয় ও গ্রহনযোগ্য করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রচারণার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ইসলামিক ব্যাংকস কনসালটেটিভ ফোরাম(আইবিসিএফ)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইবিসিএফ-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা আনোয়ার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
সেমিনার প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক একেএম নুরুল ফজল বুলবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন ওআইসির সাবেক সহকারী মহাসচিব মোহাম্মদ মহসিন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, ডব্লিওআইইএফ-এর সদস্য সালাউদ্দিন কাশেম খান, সাবেক সচিব শাহ আবদুল হান্নার, ইসলামী ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞ এম আযীযুল হক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. হাবিবুর রহমান ও এক্সিম ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সোসাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) ড. মো. রেজাউল হক। অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, কুটনৈতিক, পদস্থকর্মকর্তা, বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালক, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও নির্বাহীবৃন্দ, উলামা ও ব্যাবসায়িক নেতৃবৃন্দসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা আনোয়ার সভাপতির ভাষণে বলেন, তিন দশক আগে বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। এ ব্যাংকটির সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশে আরও ৭টি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংক হয়েছে, অনেকগুলো ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিং শাখা ও উইনডো পরিচালনা করছে। বর্তমানে দেশের এক-চতুর্থাংশ ব্যাংকিং লেনদেন পরিচালিত হচ্ছে এ পদ্ধতির আওতায়। ইসলামী ব্যাংকগুলো বাংলাদেশে শিল্পায়ন ও পোশাক শিল্পের ভিত তৈরিসহ কর্মসংস্থান তৈরি, এসএমই ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
মোহাম্মদ আবদুল মান্নান তাঁর প্রবন্ধে বলেন, ইসলামী অর্থনীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো কল্যাণমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে সকল প্রতিষ্ঠান ন্যায়, সমতা ও স্বাধীনতার জন্য কাজ করবে। ইসলামী ব্যাংক ইসলামী অর্থনীতির মাকাসিদ বা উদ্দেশ্য পূরণে কাজের সকল ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কল্যাণ, সার্বজনীন ভ্রাতৃত্ব ও আর্থিক সুবিচার নিশ্চিত করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৫
এন্এস/